স্পোর্টস ডেস্ক,কালের আলো:

তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের খোঁজে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলায় প্রথমবারের মত আয়োজিত হয়েছে ট্যালেন্ট হান্ট। শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমির আয়োজনে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচী শেষে প্রথম দফায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০৯ জন তরুণ ক্রিকেটার।

স্থানীয় সূচীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গত শুক্র ও শনিবার দুই দিনব্যাপী হান্টে চাঁদপুরের ৭টি উপজেলা থেকে মোট ৫৩০ জন তরুণ ক্রিকেটার অংশগ্রহন করেন। সেখান থেকে ১০৯ জনকে বাছাই করেন বিচারকরা। ট্যালেন্ট হান্টে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন চট্রগ্রাম বিভাগের বয়স ভিত্তিক দলের হেড কোচ মো. শামীম আখতার ফারুকী, বাংলাদেশ জাতীয় বধির ক্রিকেট দল ও ঢাকা মেরিনার্স ইয়াং ক্লাবের হেড কোচ আনিসুল ইসলাম ভূইয়া নিপু, শেখ কামাল স্পোর্টস একাডেমীর হেড কোচ মোশারফ বাবুসহ ক্লাব পর্যায়ের কোচরা।

উত্তীর্ণ ১০৯ জন ক্রিকেটারের মধ্যে ২০ জনেরও বেশি লেগ স্পিনার, ৫০ এর বেশি পেসার, ১৬ জন অফস্পিনার ও ৬ জন অর্থোডক্স বোলার স্থান পেয়েছেন। ১০ থেকে ২১ বছর বয়সী এসব ক্রিকেটারদের চূড়ান্ত পর্যায়ের বাছাই শেষে ৪০ জনকে যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্লাবের বয়স ভিত্তিক দল এবং বিকেএসপিতে ভর্তির সুযোগ করে দেবে শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমি। এছাড়া বাকীদের সবধরণের সুযোগ-সুবিধাসহ শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমিতে অনুশীলন ও ম্যাচের সুযোগ দেয়া হবে।

শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক প্রথম বিভাগ ক্রিকেটার সাদ্দাম হোসেন মিঠু এই উদ্যোগ নিয়ে বলেছেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেটে উন্নতির জন্য এই আয়োজন করা। আমি মনে করি, ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের কিছু ভালো মানের খেলোয়াড় বের করে আনতে পারবো। শাহরাস্তিতে থেকেও বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ে খেলোয়াড় তৈরি করতে পারব, যারা ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়েও খেলতে পারবে বলেও বিশ্বাস রয়েছে। তবে এই সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গেলে ভালো মানের পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন হয়। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমি আরও অগ্রসর হবে। এবং ক্রিকেটার তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।’

কালের আলো/এমএএইচ/ইউএইচ