কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্ট কাজ না করায় লোডশেডিং বেড়েছে: প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 4:13 pm | June 03, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
জ্বালানি সংকটের কারণে চলমান লোডশেডিং আরও কিছু দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেছেন, কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্ট কাজ না করাতে লোডশেডিং বেড়েছে। কিছুদিন এ পরিস্থিতি থাকবে।
শনিবার (৩ জুন) দুপুরে সাভারের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণা ল্যাবরেটরি অ্যান্ড প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধনের পর তিনি এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কয়লার অভাবে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র (পায়রা) অর্ধেক বন্ধ আছে, আগামী ৫ তারিখের পর বাকি অর্ধেকও বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে সিস্টেমে একটি বড় অংশ বিদ্যুৎ না পাওয়ায় কিছুটা জনদুর্ভোগ বেড়েছে।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে একটা বড় বিদ্যুৎ আমরা পাচ্ছি না সিস্টেমে। এই কারণে আমি মনে করি যে, কিছুটা জনদুর্ভোগ হচ্ছে। লোডশেডিং বেড়ে গেছে।’
‘তেলের ব্যাপারেও আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এখন ইন্ডাস্ট্রিতে ডাইভার্ট করছি বেশির ভাগ গ্যাস। আর ওয়েদারের অবস্থা…গরম বেড়ে গেছে, ৩৮ ডিগ্রির উপরে চলে গেছে, কোনো কোনো জায়গায় ৪০-৪১ ডিগ্রি হয়ে গেছে। সেই কারণে এই মুহূর্তে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং চলছে। এটা কিছু দিন যাবে এভাবে,’ বলেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াটের উপরে লোডশেডিং হচ্ছে।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা বিদ্যুতের পাওয়ার প্ল্যান্ট করলাম, আমরা চালু করব, বন্ধ হয়ে গেল কোভিডে। বসিয়ে বসিয়ে পয়সা দিতে হলো; খরচ করতে হয়েছে। আবার যখন ইউক্রেন যুদ্ধ লাগল, যে তেলের দাম ছিল ৭০ ডলার, হয়ে গেল ১৪০ ডলার; বেড়ে গেল। সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে ৬ টাকা লাগে, আমি বিক্রি করছি লসে।’
বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটের ওপরে লোডশেডিং চলছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে নসরুল হামিদ বিশ্ববিদ্যালয়টির নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণা ল্যাবরেটরি অ্যান্ড প্রশিক্ষণকেন্দ্র ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. এম সামসুল আলম বক্তব্য দেন।
কালের আলো/ডিএস/এমএম