১০ কেজি আলুর দামে ১ কেজি কাঁচা মরিচ!

প্রকাশিতঃ 7:30 pm | July 11, 2025

কালের আলো ডেস্ক:

নীলফামারীর সৈয়দপুরে কাঁচা মরিচের দাম আকাশছোঁয়া। খুচরা বাজারে যেখানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে, সেখানে এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে—অর্থাৎ ১০ কেজি আলুর সমান দামে এক কেজি মরিচ।

ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রতিক ভারি বা মাঝারি বৃষ্টিপাতের কারণে পাইকারি বাজারে মরিচের আমদানি কমেছে, যার প্রভাবে দাম বেড়েছে হু হু করে। এতে করে সাধারণ ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন।

মাত্র ১০ দিন আগেও যে মরিচ বিক্রি হয়েছে ১০-১৫ টাকা কেজিতে, তা হঠাৎ ২০০ টাকা ছুঁয়ে ফেলায় অনেকেই হতবাক।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সৈয়দপুর পৌর সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, মরিচের দাম দ্বিগুণ নয়—চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েছে।

অথচ সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে পরিচর্যা আর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মাত্র ১০-১৫ দিন আগেও মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছিল এবং তখন তা বিক্রি হয়েছিল মাত্র ১০ টাকা কেজিতে। কিন্তু বর্তমানে ওইসব এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় মরিচের ফলন অনেক কমে গেছে।

অন্যদিকে, যেসব অঞ্চল থেকে সাধারণত মরিচ আমদানি হয়, সেখানে বৃষ্টির কারণে আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে সরবরাহ ঘাটতির কারণে বেড়েছে দাম।

উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের মরিচ চাষি জয়নাল আবেদিন বলেন, বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা দরে। যখন ফলন ভালো ছিল, তখন মাত্র ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়েছে। এখন দাম বেশি, কিন্তু মাঠে তেমন কিছুই নেই।

অন্যদিকে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে মরিচের আমদানি কম হলেও চাহিদা রয়েছে আগের মতোই, যার ফলে দাম বেড়েছে। এতে একদিকে ক্রেতাদের মাথায় হাত। অন্যদিকে দাম বাড়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছেন মরিচ চাষিরা। সৈয়দপুর আধুনিক সবজি বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, যদিও অন্যান্য সবজি তুলনামূলকভাবে কম দামে বিক্রি হয়েছে।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষন বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয়েছে ২০-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি ৪০-৫০ মণ পর্যন্ত মরিচ পাওয়া যায়। তবে এবারে যখন ফলন ভালো ছিল, তখন বাজারমূল্য ছিল খুবই কম। আর এখন যখন দাম বেশি, তখন ফলন নেই বললেই চলে।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির অভাবেই বর্তমানে মরিচের ফলন কমে গেছে। ফলে চাষিরা তাদের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

কালের আলো/এমডিএইচ