অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না: আইজিপি

প্রকাশিতঃ 5:17 pm | May 03, 2023

কালের আলো প্রতিবেদক :

কোন অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

তিনি বলেছেন, অপরাধ সংগঠিত হলে কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি কেউ ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (০৩ মে) বিকেলে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইজিপি এসব কথা বলেন।

এর আগে এদিন সকালে তিনি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি বঙ্গপসাগরে ভেসে আসা ট্রলার থেকে ১০টি লাশ উদ্ধারের বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘যেকোন ভাবেই হোক না কেন ১০টা প্রাণহানী হয়েছে। এই ঘটনা শোনার পর পরই আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছি। এখানে সিআইডি টিম, পিআইবি টিম পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে কাজ করেছে র‌্যাবও।

তিনি বলেন, তারা খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার মূল কারণ বের করার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কেউ কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। আমরা আরো কাজ করছি। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের তথ্য সংগ্রহ করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, ‘অপহরণ কিংবা যেকোন ধরণের অপরাধ সংগঠিত হলে আমাদের জাতীয় পরিষেবা ৯৯৯ এ যোগাযোগ করে সহায়তা চাওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করবো। এই পরিষেবায় আমাদের টিম দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। কিছুদিন আগেও ঢাকার রাজবাড়িতে একটা ডাকাতির ঘটনায় ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহায়তা পেয়েছেন এক ব্যক্তি। এ ধরণের ঘটনা ঘটলে আপনারা দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের তথ্য দিলে যেকেউ পুলিশের সহায়তা পাবে।’

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, র‍্যাব সুন্দরবনকে জলদস্যমুক্ত করার জন্য কাজ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে জলদস্যমুক্ত ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের মধ্যে যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চেয়েছে তাদেরকে সুযোগ দেয়া হয়েছে।

আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সারা দেশে অভিযান পরিচালনা করছি এবং আমাদের যথেষ্ট সফলতা রয়েছে। তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্সে বাংলাদেশ পূর্বে যে অবস্থানে ছিল তার থেকে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে কাজ করার ফলেই এ সফলতা এসেছে। তিনি সন্তান কোথায় যায়, কি করে, কার সাথে মিশে সে ব্যাপারে খোঁজখবর রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান।

এর আগে আইজিপি কক্সবাজারে এপিবিএন’এ কর্মরত অফিসারদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি ঘোনারপাড়া পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন এবং সেখানে একটি গাছের চারা রোপন করেন।

পরে তিনি কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজারে কর্মরত অফিসারদের সাথে মতবিনিময় করেন।

আইজিপি গতকাল সন্ধ্যায় ইউএনডিপি এবং ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করেন।

এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজিপি ড. হাসান উল হায়দার, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মোঃ আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা আইজিপির সাথে ছিলেন।

কালের আলো/বিএএ/এমএ