তেজগাঁওয়ে ‘টম অ্যান্ড জেরি’ খেলা হচ্ছে : আতিকুল ইসলাম

প্রকাশিতঃ 2:26 pm | February 22, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঢাকার তেজগাঁওয়ে ‘মেয়র আনিসুল হক’ সড়কে ট্রাক রাখা নিয়ে সিটি কর্পোরেশন ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ট্রাক মালিকরা ‘টম অ্যান্ড জেরি’ খেলা খেলছেন বলে মন্তব্য করেছেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলছেন, রেললাইনের পরপরই লেগুনার স্টেশন করা হয়েছে। আমি আসার কারণে ট্রাকগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলেছে। যদিও অনেকে রাস্তা ওপর ট্রাক রেখে দিব্বি চলে গেছে। সত্যি কথা বলতে হয়, এ সড়কটি নিয়ে টম অ্যান্ড জেরি খেলা হচ্ছে। জাস্ট টম এন্ড জেরি। আমি আসলে চলে যাচ্ছে, পুলিশ আসলে চলে যাচ্ছে; পরে আবারও এসে রাস্তা দখল করছে, আবার চলে আসছে। এটা বাস্তব সত্য চিত্র।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন মেয়র আনিসুল হক সড়কে অভিযান শেষে এসব কথা বলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সড়কটি দখলমুক্ত করতে প্রায়ই অভিযান চালানো হয় জানিয়ে মেয়র বলেন, এখানে আমরা প্রায়ই অভিযান চালাই। কিন্তু তার দুদিন পরই দখল হয়ে যায়। ট্রাকের মালিকরা বলছেন, জায়গা দেই না কেন? আমি বলেছি, আমি যেটা চাই, আগে সেটা করবেন। আমি চাই জনগণের কোনো যেন ভোগান্তি না থাকে। এর জন্য রাস্তার দুই পাশে কোনো ধরনের ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না।

সড়কটি দখলমুক্ত রাখতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুলিশের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করতে চাচ্ছি। এখানে মালিক সমিতির প্রতিনিধি থাকবে, ট্রাক শ্রমিক প্রতিনিধি থাকবে, পুলিশ থাকবে, কাউন্সিলর থাকবে, আরেকজন প্রতিনিধি থাকবে।

মেয়রের অভিযান লোক দেখানো কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাস্তাটা সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। এ জন্য যা যা দরকার সব করতে হবে। আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের একটা সল্যুশন করতে হবে।

মেয়র আনিসুল সড়কে অযান্ত্রিক যানে গতি ফেরাতে আলাদা লেন উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আলাদা একটা লেন করেছি। যে লাইনটি শুধু রিকশার জন্য। আগে আমরা দেখতাম সড়কের ওপরে রাখা ট্রাকগুলো উত্তর-দক্ষিণে রাখা হতো। ফলে ট্রাকের পেছনটা ফুটপাত দখল করে রাখত। এখন আমরা যে পদ্ধতি করেছি ফুটপাতে ট্রাক রাখতে পারবে না। ফুটপাত দিয়ে জনগণ হাঁটতে পারবেন। জনগণ যেন নিরাপদে হাঁটতে পারেন তার জন্য আমরা এ পদ্ধতি নিয়েছি।

সড়কটি দখল না হওয়ার পেছনে কাউন্সিলরদের চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, জনপ্রতিনিধি যদি কোনো চাঁদাবাজি করে তাহলে এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু নেই। তারা যদি করে থাকে এটার প্রমাণ দিতে হবে। আপনি বলবেন, আরেকজন বলবে, পুলিশ চাঁদা খায়, আরেকজন বলবে মেয়র চাঁদা খান, সবাই চাঁদা খায়; এ রকম বললে হবে না, প্রমাণ দিতে হবে।

কালের আলো/এসবি/এমএম