সামান্য বৃষ্টিতেই বঙ্গবাজারে জলাবদ্ধতা
প্রকাশিতঃ 10:56 am | June 22, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় রাজধানীর বঙ্গবাজার এলাকার রাস্তা। হাঁটু পানি জমে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাস্তায় তৈরি হচ্ছে ব্যাপক যানজট। বর্ষায় ভোগান্তি আরও চরমে পৌঁছার আশঙ্কা স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানায়, আধা ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হলে সেটা চার পাঁচ ঘন্টায়ও কমেনা। নগর ভবনের কাছের এ রাস্তার প্রায় সর্বত্রই হাঁটু পানি। এনেক্স ভবন থেকে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের দিকে যাওয়ার রাস্তার দক্ষিণ প্রান্তজুড়ে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তবে বেশি ভোগান্তি আনন্দবাজার ড. শহিদুল্লাহ সড়কে। রেলওয়ে হাসপাতালের সামনের চত্বর থেকে শুরু করে আনন্দবাজার মসজিদ পর্যন্ত পুরো সড়কই পানির নিচে থাকে
সড়কের ফুটপাতের অধিকাংশ তলিয়ে যায় পানিতে। রাস্তায় জমেছে হাঁটুসমান পানি। ফুটপাতের কিছু অংশে পানি না উঠলেও যানবাহন চলাচলের সময় পানির ঢেউয়ে সেটাও ডুবে যায়। সড়কে যানজট, ফুটপাতে পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ, এটাই সেখানের সারা দিনের চিত্র।
এর কারন হিসেবে স্থানীয়রা বলছেন, আশপাশের জায়গাগুলো অনেকটা উঁচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি গড়িয়ে এসে সেখানে জমা হয়। দুর্বল ড্রেনেজব্যবস্থার কারণে পানি অপসারণ হয় খুবই ধীর গতিতে। এতে তৈরি হয় জলাবদ্ধতার। এই পানি পুরোপুরি যেতে প্রায় সারা দিন লেগে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ওয়াসার লাইনে সমস্যার কারণেই এখানে জলাবদ্ধতা হয়। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ও তাদের অসংখ্যবার বলেছে। কিন্তু তারা টেন্ডার হয়েছে, কন্ট্রাক হয়েছে এসবই বলে যাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নিরুপায়। এই মুহূর্তে কোনো সমাধান দেখছি না।’ এলাকাটি ওয়াসার নির্ধারিত কয়েকটি অঞ্চলের সীমান্তবর্তী হওয়ায় এক অঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তা অন্য অঞ্চলের আওতাধীন বলে মন্তব্য থেকে বিরত থেকেছেন।
এ বিষয়ে ওয়াসার ড্রেনেজ বিভাগের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কালের আলো/এআর/এমএম