সন্ধ্যার পর একা চলাফেরায় নিরাপদ বোধ করেন দেশের ৮৫ শতাংশ নাগরিক
প্রকাশিতঃ 6:44 pm | June 19, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
দেশে সন্ধ্যার পর একা চলাফেরার ক্ষেত্রে নিরাপদ বোধ করেন ৮৫ শতাংশ নাগরিক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিচালিত সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৫-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে।
১ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলা জুড়ে নাগরিকদের নিরাপত্তা, সুশাসন, সরকারি সেবার মান, দুর্নীতি, ন্যায়বিচার ও বৈষম্য নিয়ে সংগ্রহ করা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবদেন তৈরি হয়েছে।
জরিপের মাধ্যমে ১,৯২০টি প্রাইমারি স্যাম্পলিং ইউনিট থেকে ৪৫,৮৮৮টি থানা থেকে ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সি মোট ৮৪,৮০৭ জন নাগরিকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। জরিপে ব্যবহৃত প্রশ্নপত্র জাতিসংঘের নির্ধারিত আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে তৈরি এবং তথ্য সংগ্রহে আধুনিক Computer Assisted Personal Interviewing (CAPI) পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, যা তথ্যের গুণগত মান ও রিয়েল টাইম মনিটরিং নিশ্চিত করেছে।
সন্ধ্যার পর একা চলাফেরায় নিরাপত্তা বোধ
সর্বমোট ৮৪.৮১ শতাংশ নাগরিক তাদের নিজ এলাকার আশপাশে সন্ধ্যার পর একা চলাফেরা করতে নিরাপদ বোধ করেন। পুরুষদের নিরাপত্তাবোধ ৮৯.৫৩ শতাংশ এবং নারীদের ৮০.৬৭ শতাংশ।
শহর ও গ্রামাঞ্চলের পার্থক্য
শহরাঞ্চলের নাগরিকদের নিরাপত্তাবোধ ৮৩.৭৫ শতাংশ, যা গ্রামীণ এলাকায় ৮৫.৩০ শতাংশ থেকে সামান্য কম।
নিজ বাড়িতে সন্ধ্যার পর নিরাপত্তাবোধ
নিজ বাড়িতে নিরাপত্তাবোধের হার ৯২.৫৪ শতাংশ। নারীদের ক্ষেত্রে তা ৯১.৮২ শতাংশ এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ৯৩.৩৫ শতাংশ।
দেশের নাগরিকরা সন্ধ্যার পর নিজেদের বাড়িতে নিরাপদ বোধ করলেও বাইরে একা চলাফেরায় নারীরা তুলনামূলক কম নিরাপদ বোধ করেন। শহরাঞ্চলে কিছুটা নিরাপত্তাবোধ কম হওয়া অবশ্য আশঙ্কাজনক, যা সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত।
সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে থেকে প্রাপ্ত এই তথ্য দেশের সুশাসন ও জননিরাপত্তার অগ্রগতির মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া এসডিজি ১৬ (শান্তি, ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান)-এর লক্ষ্যমাত্রাগুলোর বাস্তবায়নে কার্যকর নীতিমালা গ্রহণে সহায়ক হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সরকার, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই প্রতিবেদনের তথ্যকে কাজে লাগিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা চিহ্নিত করে নাগরিকদের জন্য আরও নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।
কালের আলো/এমডিএইচ