আ.লীগের নিবন্ধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের জরুরি বৈঠক আজ

প্রকাশিতঃ 11:03 am | May 12, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণার পর এবার দলটির নিবন্ধন বাতিল হবে কি না, তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (১২ মে) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে ইসির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার আনুষ্ঠানিক গেজেট ইসির হাতে এলে, নিবন্ধন ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে গেজেট প্রকাশ ছাড়াই আজকের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ অবস্থায়, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিতের সুপারিশ আসতে পারে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সরকার গেজেট প্রকাশ করলে আমরা কমিশন বৈঠক করবো। এখানে আমি একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। কমিশনের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত করতে পারি। কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম চলবে কি না, সে সিদ্ধান্ত সরকারই নেয়। এক্ষেত্রে আলাদা করে সরকারের কাছ থেকে নির্দেশনা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। গেজেট হলেই যথাযথ আইনি ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীসহ সারাদেশ। বিশেষ করে—ছাত্র-জনতা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) টানা আন্দোলনের চাপে পড়ে গত শনিবার (১০ মে) রাতে অন্তর্বর্তী সরকার এক জরুরি বৈঠকে আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

সেই বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন অনুমোদন পায়। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখন রাজনৈতিক দল কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিচার করতে পারবে এবং শাস্তির আওতায় আনতে পারবে।

সরকারি সিদ্ধান্তে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত, আওয়ামী লীগ, তাদের অঙ্গসংগঠন এবং ঘনিষ্ঠ সমর্থক গোষ্ঠীর সকল কার্যক্রম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় সাইবার জগতে তাদের কর্মকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সরকারি ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে মূল উদ্দেশ্য— জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এবং ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষা।

কালের আলো/এমডিএইচ