চাকরির জন্য প্রযুক্তিনির্ভর পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে: মোস্তাফা জব্বার

প্রকাশিতঃ 8:53 pm | March 18, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় চাকরির সুযোগ সীমিত। তাই পড়াশোনা শেষে চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভোগে তরুণ সমাজ। তাই তরুণ-তরুণীদের ক্যারিয়ারে চাকরির জন্য ‘স্কিল বেজড’ অথবা প্রযুক্তিনির্ভর পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে। আর এর জন্য প্রযুক্তি বিষয়ে প্রাথমিক স্তর থেকে কাজ শুরু করতে হবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিসি মিলনায়তনে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙিন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, সরকার এখন প্রোগ্রামিং এবং রোবটিক্স বিষয়ক পড়াশোনার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করা, প্রতিটি ক্লাস রুমকে ডিজিটাল করা এবং শিশুদের পড়াশোনার কনটেন্টকে ডিজিটাল করা।

শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভালোবাসা ও অনুরাগ এর উদাহরণ দিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মানব সম্পদ যেটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সঠিকভাবে চিনতে পেরেছিলেন। আর তাই স্বাধীনতার পর তিনি একসাথে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে আমরা তুলে ধরতে পারি তাহলে তারা জীবন সংগ্রামে বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ডিজিটাল প্লাটফর্মে শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু তার জীবনই এই জাতির জন্য সব কাজ করে গেছেন। আমাদের শুধু সেটিকে অনুসরণ করতে হবে এবং সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু যদি আরও পাঁচ বা দশ বছর বেঁচে থাকতেন তাহলে আমরা আরও উন্নত একটি দেশ পেতাম।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, তথ্য প্রযুক্তি অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন, কন্ট্রোলার এবং সার্টিফাইং অথরিটিজ আরে নিয়ন্ত্রক আবুল মানসুর মোহাম্মদ সার্ফ উদ্দিন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব।

কালের আলো/ওএইচ

Print Friendly, PDF & Email