ছাত্রলীগ বাদে সব প্যানেলের ভোট বর্জনের ঘোষণা
প্রকাশিতঃ 1:49 pm | March 11, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে ছাত্রদল সহ ছয়টি প্যানেল।
নির্বাচনে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলে ফের পুনঃভোটের দাবি জানিয়েছে তারা।
সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা।
বিভিন্ন জায়গায় ভোট কার্যক্রমে অনিয়ম, প্রার্থীদের ওপর হামলা ও প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, প্রগতিশীল বাম মোর্চা, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং স্বতন্ত্র জোট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়।
এর মধ্যে সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের প্যানেল সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী লিটন নন্দী।
পরে আলাদাভাবে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল এবং সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
এর আগে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের প্রার্থী-কর্মীদের ধাওয়া দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগকে অভিযুক্ত করছেন ঐক্যের নেতারা।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে স্বতন্ত্র জোট অরণি-শাফী পরিষদ। এই প্যালেনের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শাফী আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে এই ঘোষণা দেন।
তিনি লিখেছেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ছাত্রলীগ এবং প্রশাসনের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে এবং অরণি সেমন্তি খান ও শ্রবণা শফিক দীপ্তিকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করায় স্বতন্ত্র জোট ডাকসু নির্বাচন ২০১৯ বর্জন করছে।’
এদিকে ভোট শুরু আগেই বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ছাত্রলীগ প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে সিল মারা এক বস্তা ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে মুখে হলের প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে রোকেয়া হল ও সুফিয়া কামাল হলে ভোট শুরুর আগে ব্যালট বাক্স না দেখানোর অভিযোগে হল দুটিতে বিক্ষোভ করে ছাত্রীরা। তাদের বিক্ষোভের মুখে বর্তমানে এই দুই হলেই ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া মহসীন হলে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকায় সেখানে সাধারণ অনেক শিক্ষার্থী ভোট না দিয়ে ফিরে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডাকসু নির্বাচন। একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি আবাসিক হল সংসদের নির্বাচন।
কালের আলো/এমএইচএ