ড. ওয়াজেদ মিয়া দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 8:18 pm | May 09, 2023

কালের আলো ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্লোভ, নিরহংকার, প্রচারবিমুখ ড. এম এ ওয়াজেদ দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর স্বামী এই পরিচয় কখনও ব্যবহার করতেন না। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জামাতা সেই পরিচয়ও দিতেন না। নিরহংকার এই মানুষটির আচরণে এই পরিচয়গুলো কখনও বোঝার উপায় ছিল না।

প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৯ মে) বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, অত্যন্ত মেধাবী ড. ওয়াজেদ মিয়া পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরমাণু শক্তি কমিশনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়ে এর উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি বিরাট ভূমিকা রেখেছিলেন। আজ যে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে এটির প্রয়োজনীয়তা অনুধাবনের ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা ছিল। অর্থাৎ এই কনসেপ্টটি ধারণ করার ক্ষেত্রে এবং এটি করলে পরে দেশের জন্য কী ভালো হবে সেটি তুলে ধরার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা ছিল।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে প্রচণ্ড দুর্ব্যবহার করা হয়েছিল এবং তারপর থেকে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। এরপর তার যে অসুস্থতা সেটিও বেড়ে যায়, সে কারণেই তিনি ২০০৯ সালে ৯ মে ইন্তেকাল করেন। তার এই মৃত্যু দিবসে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

তিনি বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া অনেক বইও লিখেছেন। তিনি তার কর্ম, প্রজ্ঞা এবং দেশের প্রতি অবদানের কারণে যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশে বেঁচে থাকবেন।

মির্জা ফখরুল অবলীলায় সুন্দরভাবে মিথ্যা কথা বলতে পারেন

বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের কথা বিশ্বাস করেন না। আর জনগণ মনে করে মির্জা ফখরুল সাহেব সবসময় মিথ্যা কথা বলেন। এটিই হচ্ছে বাস্তবতা। কারণ মির্জা ফখরুল সাহেবের গুণ না দোষ, এটিকে সাধারণ মানুষ দোষই বলবে যে তিনি অবলীলায় সুন্দরভাবে মিথ্যা কথা বলতে পারেন, যা দুঃখজনক হলেও সত্য।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক যে কথাটি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আমরা বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চাই। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েও তিনি কথা বলেছেন। আমাদের সদিচ্ছার কথাই আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক তার বক্তব্যে বলেছেন। যারা নির্বাচনই চায় না, যারা নির্বাচনকে ভয় পায়, তাদের কাছে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য এতো শ্রুতিমধুর হবে না, এটি খুবই স্বাভাবিক।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বিএনপির নেতারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এটি মির্জা ফখরুল ও রিজভী সাহেবরা দেখতে পারবেন।’

কালের আলো/এআইএ