নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন খুলনা ওয়াসা এমডি

প্রকাশিতঃ 5:28 pm | February 05, 2022

কালের আলো সংবাদদাতা:

খুলনা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ। তিনি নিজ নামে যতো না অর্থ সম্পদ তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি তিনি গচ্ছিত করেছেন স্ত্রী, সন্তান, ভাইসহ নিকট আত্মীয়দের নামে। এসব অর্থ-সম্পদের খোঁজ শুরু করেছে দুনীতি দমন কমিশন- দুদক। ১২ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার ঘটনায় হতবাক খুলনার নাগরিক নেতারা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর সেগুন বাগিচার ওয়েস্টার্ণ টাওয়ারে সুসজ্জিত ফ্ল্যাট রয়েছে প্রকৌশলী আবদুল্লাহ ও স্ত্রীর নামে। এছাড়া শ্যামলীর ২ নম্বর রোডের ৯/৪ হোল্ডিংয়ে ৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে প্রকৌশলী আবদুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের মালিকানায়।

ভবনের কেয়ারটেকার ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।

ঢাকার বাইরে শেরপুর বিসিক শিল্প নগরীর নৌহাটায় মেসার্স শ্রাবণ বাধন রাইছ মিল আবদুল্লাহর স্ত্রী ও ভাতিজাদের অংশীদারিত্বে পরিচালিত হয়।

এছাড়া ওয়াসার এমডি, স্ত্রী সন্তানদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৭০ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র ও একাধিক ব্যাংকে স্থায়ী আমানতের তথ্য পেয়েছে সরকারি একাধিক সংস্থা।

এ বিষয়ে খুলনা উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি শাহিন জামান বলেন, ১২/১৪ বছরে এতো অগাধ সম্পত্তি মালিক হওয়ার কথা না। এটা পরিচ্ছন্ন কথা, আড়াই লাখ টাকা বেতন নিয়ে নিজের সংসার চালায়, স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে…. অধিক সম্পত্তির মালিক হওয়ার কোন সুযোগ নাই।

তবে নিজেকে স্বচ্ছ দাবি করে খুলনা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ বলেন, আমার ট্যাক্স রিটার্নের কাগজপত্রগুলো কেউ যদি পরীক্ষা নিরিক্ষা করে তাহলে কিন্তু পরিস্কার হয়ে আসবে যে- অনিয়মিত সম্পদ কখনোই ছিলোনা, এখনও থাকবেনা, ভবিষ্যতেও থাকবেনা।

জানা গেছে, এস অভিযোগে ইতোমধ্যে প্রকৌশলী আবদুল্লাহর অর্থ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক।

কালের আলো/ডিএস/এমএইচএ