‘ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ ওজোনস্তর রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে’

প্রকাশিতঃ 11:41 am | September 16, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

ওজোনস্তর রক্ষায় বাংলাদেশের পরিচালিত কার্যক্রম বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোস্তফা কামাল বলেছেন, আশা করি ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ ওজোনস্তর রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বানীতে তিনি এসব কথা বলেন।

সচিব মো: মোস্তফা কামাল বলেন, ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহাত হওয়ার পর বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্র বিগত ৩৫ বছর যাবৎ ওজোনস্তর রক্ষায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে প্রায় ৯৩% ওজোন ক্ষয়কারী দ্রব্যের ব্যবহার হ্রাস করেছে। বাংলাদেশ এ সাফল্যের গর্বিত অংশীদার ।

তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট বাংলাদেশ মন্ট্রিল প্রটোকল অনুস্বাক্ষর করে এবং প্রটোকল অনুসারে বিভিন্ন কমুসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের আমদানি ও ব্যবহার নির্ধারিত হারে রোধ করতে সক্ষম হয় । এ জন্য প্রটোকল সংক্রান্ত পার্টি সভায় বাংলাদেশের পরিচালিত কার্যক্রম উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে এবং কয়েকবার পুরস্কৃত হয়েছে। আমি আশা করি ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ ওজোনস্তর রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

বানীতে তিনি আরও বলেন, মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেকসই প্রযুক্তি গ্রণের সাথে সাথে বিশ্বে খাদ্য সংরক্ষণ তথা খাদ্য নিরাপত্তা ও মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে। এছাড়া করোনা মহামারীর সময়ে প্রতিষেধক সংরক্ষণ একটি গুরুত্পূর্ণ বিষয় হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।

‘এ প্রেক্ষিতে এ বছরের বিশ্ব ওজোন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Montreal Protocol Keeping us, our food and vaccines cool’ তথা ‘মন্ট্রিল প্রটোকল মেনে ওজোনস্তর রক্ষা করি- নিরাপদ খাদ্য ও প্রতিষেধকের শীতল বিশ্ব গড়ি’। প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী।’

মোস্তফা কামাল বলেন, মন্ট্রিল প্রটোকল স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বর্তমানে উচ্চ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিকারী হাইড্রোক্লোরোফ্লোরোকার্বন (এইচসিএফসি)-এর ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বন্ধ করার লক্ষে HCFC Plase-out Management Plan (HPMP-stage-II) বাস্তবায়ন করছে।

‘এতে বিকল্প প্রযুক্তি হিসেবে বিদ্যুত সাশ্রয়ী ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে সহায়ক হবে এমন প্রযুক্তিই নির্বাচন করা হয়েছে। এ বিষয়ে, ২০১৬ সালে রুয়ান্ডার কিগালীতে মন্ট্রিল প্রটোকল সংশোধীত হয় এবং সকল রাষ্ট্র ওজোনস্তর রক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।’

তিনি বলেন, ফলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য নয় কিন্ত বৈশ্বিক উষ্ণায়নে সক্ষম দ্রব্য, হাইড্রোফ্লোরোকার্বন বা এইচএফসি-এর ব্যবহার হ্রাস করা সম্ভব হবে, যার মাধ্যমে এ শতাব্দির শেষে বৈশ্বিক গড় উষ্ণায়ন বৃদ্ধি ০.৪ ডিগ্রী সেলিয়াস পর্যন্ত-হ্রাস করা সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন। বাংলাদেশেও এইচএফসি ব্যবহার কমিয়ে আনার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এ সময় দিবসটি উপলক্ষে সচিব এ প্রটোকল সফল বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশে বিশ্ব ওজোন দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

কালের আলো/এসআরবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email