সাইবার সিকিউরিটির প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
প্রকাশিতঃ 8:15 pm | November 18, 2020

ডেস্ক রিপোর্ট, কালের আলো:
নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতের বিরোধিতা করায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতের বিরোধিতা করায় শীর্ষ একজন নির্বাচনী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিবিসি জানিয়েছে, নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে “অত্যন্ত ভুল” মন্তব্য করার জন্য তিনি সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিসা) প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। তবে নির্বাচনটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে “সবচেয়ে সুরক্ষিত” নির্বাচন হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
বিবিসি জানিয়েছে, সিসা’র “রিউমার কন্ট্রোল” বা “গুজব নিয়ন্ত্রণ” নামে একটি ওয়েবসাইটে, নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য খণ্ডন করা হতো। এর বেশিরভাগ প্রভাব পড়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপরেই। এ কারণেই হোয়াইট হাউজের অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এরআগে, গত সপ্তাহেই পদত্যাগ করেন সিসা’র সহকারী পরিচালক ব্রায়ান ওয়ার। হোয়াইট হাউজ থেকে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল।
এদিকে, বরখাস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ক্রেবস এক টুইটে ট্রাম্পের একটি অভিযোগ খণ্ডন করেন। অনেক রাজ্যে ট্রাম্পের ভোট জো বাইডেনের নামে পাল্টে দেওয়া হয়েছে, এ অভিযোগটি খণ্ডন করে
ক্রেবস বলেন, ”নির্বাচনী পদ্ধতি জালিয়াতির বিষয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, আমাদের জানা মতে কোন ঘটনাতেই এরকম অভিযোগের ভিত্তি নেই এবং প্রযুক্তিগতভাবেও সেটা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে ৫৯ জন নির্বাচনী নিরাপত্তা কর্মকর্তাও একমত বলেও জানান তিনি।
এর আগে নির্বাচনের একজন আইনি বিশেষজ্ঞের একটি টুইটের পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি টুইটারে লিখেছিলেন, ”দয়া করে এমন সব টুইট শেয়ার করবেন না যেখানে ভোটিং মেশিন নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ রয়েছে, সেটা প্রেসিডেন্টের হলেও।”
এছাড়া ৩ নভেম্বরের নির্বাচন প্রসঙ্গে সিসা’র ওয়েবসাইটে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ”যদিও আমরা জানি যে, প্রমাণ ছাড়াই অনেক অভিযোগ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর সুযোগ আছে, তবে আমরা নিশ্চিত করে বলছি, নির্বাচনের নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে আমাদের পুরো আস্থা রয়েছে, আপনাদেরও সেটা রাখা উচিত।” তবে এই বিবৃতিতে কোথাও ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হয়নি বলেও জানিয়েছে বিবিসি।
কালের আলো/এসকে/এমএম