সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনার ব্যাখ্যা দিলো আইএসপিআর

প্রকাশিতঃ 8:35 pm | July 22, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময় সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

আইএসপিআরের ব্যাখ্যায় বলা হয়, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিরীহ নাগরিক হতাহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকটবর্তী ক্যাম্প থেকে সেনা সদস্যরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে তৎপরতা চালানো হয়।

উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে দুর্ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা দেয় যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে। সেনাবাহিনীর সদস্য এবং মাইলস্টোন স্কুলের স্বেচ্ছাসেবকরা বারবার অনুরোধ করলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় সময়মতো আহতদের সরিয়ে নেওয়া অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে প্রাণহানির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। সেনাসদস্যরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারত্বের সাথে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। যে উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত ১৪ জন সেনাসদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালীন বিকালের দিকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু উৎসুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধার কাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এতে একদল উৎসুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের হয় যা এক পর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার অবতারণা করে।

ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থেকে পেশাদারত্ব ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।

কালের আলো/এমএএইচএন