‘সাহস থাকলে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন’

প্রকাশিতঃ 10:34 pm | February 20, 2018

সিনিয়র রিপোর্টার | কালের আলো:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ন আন্দোলন চলবে। দেশের স্বার্থে, জণগণের স্বার্থে-গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রয়োজন। তাই শান্তিপূর্নভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সাহস থাকলে নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৩টি আসনে নির্বাচন করবেন। কোন আসনে তিনি পরাজিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। দেশনেত্রীর নির্বাচনে কোন বাধাঁ নেই। আওয়ামীলীগের মন্ত্রী ময়া চৌধুরীর ১৩ বছর সাজা হয়েছে, মখা আলমগীরের সাজা হয়েছে। কিন্তু তারা এখনো এমপি।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়াস্থ আল-বারাকা কনভেনশন সেন্টারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবীতে জেলা দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, যে মামলায় দেশনেত্রীকে সাজা দেয়া হয়েছে, সে মামলার কোন ভিত্তি নেই। আইন অনুযায়ী দেশনেত্রীকে অভিযোগ পড়ে শুনানো হয়নি। এ মামলার সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোন সর্ম্পক নেই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কিছু ছায়া-নথি কাটাঁ-ছেঁড়া করে প্রকাশ করা হয়েছে। মূলত আদালতের ঘাড়েঁ বন্দুক রেখে এ সরকার সব কিছু করছে।

শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম খান এ সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারকে চান্স দেবেন না। সরকার আশা করেছিল খালেদা জিয়ার সাজা হলে আমরা বাসে ঢিল মারবো। তখন তারা বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়ে আমাদের নামে মামলা দিবে। কিন্তু সে সুযোগ না পেয়ে সরকারের মনে বড় কষ্ট।

বিশেষ অতিথির বক্তেব্য বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দুই কোটি টাকার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৫ বছর সাজা হলে ১৪ হাজার ৮ শত কোটি টাকা দুর্নীতির দায়ে শেখ হাসিনার তিন লক্ষ ৫০ বছর জেল হবে।

এ সময় প্রিন্স স্থানীয় প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ন কর্মসূচীকে দূর্বলতা ভাববেন না। দয়া করে অশান্ত হবার জন্য উস্কানী দিবেন না। শান্তিতে থাকতে দিন, আপনার শান্তিতে থাকবেন। শান্তিপূর্ন কর্মসূচী পালনে সহযোগিতা করুন।

গণসমাবেশে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কাজী রানা ও উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন শহর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি নূরজাহান ইয়াসমীন, সাবেক এমপি শাহ নূরুল কবীর শাহীন, বিএনপি নেতা অধ্যপক শেখ আমজাদ আলী, আলমগীর মাহমুদ আলম, ফখরুদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু, জাকির হোসেন বাবলু, লিটন আকন্দ, কায়কোবাদ মামুন, রতন আকন্দ, এড.এমএ হান্নান খান, অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, আবুল বাসার আকন্দ, জাকারিয়া হারুন, আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরন, এড.আজিজুর রহমান খান, বিএনপি নেতা এড.আনোয়ারুল আজিজ টুটুল, লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু, শ্রমিক দল সভাপতি আবু সাঈদ, উত্তর যুবদল সভাপতি কামরুজ্জামান লিটন, সাধারন সম্পাদক শামছুল হক শামছু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক সুজাউদ্দৌল্লাহ সুজা, দক্ষিন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক টুটু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শহীদুল আমীন খসরু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা জসীম উদ্দিন জনি, উত্তর তাতীঁদল নেতা শাজাহান কবীর হীরা প্রমুখ।

কালের আলো/এএজে