শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আলোচনা করে পূরণ করা হবে : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

প্রকাশিতঃ 11:25 pm | September 02, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের ন্যায্য সব দাবি আলোচনা করে পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

সম্প্রতি শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিস ফরিদা আখতার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকপক্ষ ও মালিকপক্ষের অংশগ্রহণে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আসিফ মাহমুদ বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিগুলো নিয়ে নতুন সরকার কাজ করছে। আমাদের শ্রম আইন যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন বকেয়া আছে তা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে। ইতোমধ্যে বেতন পরিশোধের জন্য সরকার ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। শ্রমিকদের দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-শ্রমিক জনতার ভূমিকায় নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথ সুগম হয়েছে। দেশের অর্থনীতি বেগবান করতে হলে শিল্প কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। শিল্প কারখানার মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্প কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নত করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, কলকারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। আন্দোলনের নামে কলকারখানার ক্ষতি করা যাবে না। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-শ্রমিক জনতার সরকার। শ্রমিকের দুঃখ কষ্টের সামগ্রিক বিষয়ে সরকার অবহিত। যথা শিগগিরই সম্ভব শ্রমিক কল্যাণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, সম্প্রতি ওষুধ শিল্প, কৃষিপণ্য শিল্পে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তা দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। আপনারা অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। অনেকই আমাদের শিল্প গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়, যা আমরা হতে দিতে পারি না।

ফ্যাক্টরিগুলোতে শ্রমিকদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সব সাধারণ শ্রমিক এবং শ্রমিক নেতাদের কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

কালের আলো/ডিএইচ/কেএ