‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, বিজিবি’র পাহারায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা চালু
প্রকাশিতঃ 11:30 pm | September 01, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
দিনভর কর্মবিরতি ও দুপুরের পরে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণায় বন্ধ ছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা। হামলাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার শর্তে অবশেষে স্থগিত করা হয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। বিজিবি’র পাহারায় রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় চালু হয় চিকিৎসাসেবা। জোরদার করা হয়েছে হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা।কাজে ফিরতে শুরু করেন চিকিৎসকরা। এতে করে অবসান হয়েছে দুর্ভোগের।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান জানান, যারা চিকিৎসকদের ওপর হামলা করেছে তাদের গ্রেফতারের আশ্বাস ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার শর্তে ২৪ ঘণ্টার জন্য ইমার্জেন্সি সেবা চালু হচ্ছে। তবে রুটিন কাজ ও আউটডোর সেবা বন্ধ থাকবে। ইনডোরে যেসব ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি রয়েছেন তাদের চিকিৎসা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এর আগে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হাসপাতালের চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে আহত চিকিৎসকদের দেখতে যান। তাদের খোঁজ-খবর নেন ও কথা বলেন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে বৈঠকের পরে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেন। চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বাসে তারা এই ঘোষণা দেন।
এদিকে চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রবিবার সকালের পর থেকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখেন চিকিৎসকরা। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সারা দেশ থেকে আসা রোগীদের।
জানা যায়, বহির্বিভাগে সকাল থেকেই শত শত রোগী ফিরে গেছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, প্রচুর রোগী আসছেন, লাইনে দাঁড়িয়ে কিছু সময় টিকিট কিনেছেন। কেউ কেউ দেখাতে পারলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ফাঁকা হয়ে যায়। অনেকে টিকিট কিনেও চিকিৎসা নিতে পারেননি। সেখানকার টিকিট বিক্রেতা জানান, তারা প্রতিদিন টিকিট বিক্রি করেন আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার। রবিবার টিকিট বিক্রি করেছেন দেড়শর মতো। তবে টিকিট নিয়েও চিকিৎসক দেখাতে পারেননি অনেকেই।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সরকারি পর্যায়ে দেশের সর্ববৃহৎ রেফারেল হাসপাতাল। ২৬০০ বেডের এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে চার হাজারের বেশি রোগী ভর্তি থাকে। বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগ মিলিয়ে দৈনিক আরও প্রায় পাঁচ হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন এই হাসপাতালে। মাত্র এক বেলার কর্মবিরতিতে হাজারও মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন এখানে।
কালের আলো/এমএএইচ/ইউএইচ