কারাগারে খালেদাকে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ

প্রকাশিতঃ 3:25 pm | February 11, 2018

স্টাফ রিপোর্টার | কালের আলো:

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাবিধি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির মর্যাদা বা ডিভিশন দেয়ার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

খালেদা জিয়াকে দণ্ড দেয়া ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামানের আদালত রবিবার এই আদেশ দেন।

সকালে আমিনুল ইসলাম ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া নামে দুই আইনজীবী খালেদা জিয়ার ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেয়।

সিনিয়র আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘জেলকোডের ৬১৭ ধারা অনুযায়ী জেল সুপারেরই এই আবেদন করা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। এতে আমরা কষ্ট পেয়েছি। পরে আমাদেরকে এ ব্যাপারে আবেদন করতে হয়েছে।’

১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসার পর এতিমদের কল্যাণে বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা অস্তিত্বহীন ট্রাস্টের নামে বরাদ্দ করার অভিযোগে করা মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দু্র্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান।

আর রায় ঘোষণার পর পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নেয়া হয় বকশিবাজারে পুরনো কারাগারে। সেখানে বন্দীদের সন্তানদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টারের দুটি কক্ষ আগে থেকেই তৈরি করা ছিল।

শনিবার বিকালে কারাগারে বন্দী খালেদা জিয়ার সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় কথা বলেন তার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, আবদুর রেজ্জাক খান ও এ জে মোহাম্মদ আলী।

কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্জন কারাবাস বলতে যা বোঝায়, ম্যাডামকে তা দেয়া হয়েছে। জনমানবহীন পরিবেশে রাখা হয়েছে। ডিভিশন দেয়া হয়নি। সাধারণ কয়েদিদের যা খেতে দেয়া হয়, খালেদাকেও তাই দেয়া হয়েছে, যা প্রায় অখাদ্য।’

মওদুদ বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে, একটি দলের প্রধান হিসেবে তার ডিভিশন পাওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘যে পরিচারিকাকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাখার কথা বলা হয়েছে, যাকে ছাড়া ম্যাডাম ১৫-২০ বছর চলতে পারেননি, সেই ফাতেমাকেও এখনো থাকার অনুমতি দেয়া হয়নি। এটা সরকারেরই দেখা দরকার।’ এ বিষয়ে প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করবেন বলেও জানান মওদুদ।

Print Friendly, PDF & Email