‘বিমান বাহিনীর সদস্যরা আলোর দ্যূতি ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বব্যাপী’

প্রকাশিতঃ 11:32 pm | May 28, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বিশ্বশান্তি, সংহতি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ জাতিসংঘের ‘বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রম’ বাস্তবায়নে দীর্ঘ দিন থেকে বিশ্বের সংঘাতময় অঞ্চলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে বলে জানিয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান।

তিনি আজকের এই মহান দিনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত সকল শান্তিরক্ষীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এছাড়াও শান্তিরক্ষার মহান দায়িত্ব পালনকালে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারী সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’

বুধবার (২৯ মে) ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান বাণীতে বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ – এ মূলমন্ত্র অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ১৯৯৩ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে বিশ্বের অশান্ত অঞ্চলসমূহে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে। এই মহতী কার্যক্রমে পুরুষ সদস্যদের পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মহিলা শান্তিরক্ষীদের কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং প্রশংসনীয় অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে এবং নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী-পুরুষ সমতা বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৩টি স্বতন্ত্র কন্টিনজেন্ট জাতিসংঘের দুইটি অঞ্চলে নিয়োজিত আছে। তন্মধ্যে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে এমআই সিরিজ হেলিকপ্টারসহ একটি ইউটিলিটি অ্যাভিয়েশন ইউনিট ও সি-১৩০ পরিবহন বিমানসহ একটি এয়ার ট্রান্সপোর্ট ইউনিট এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে এমআই সিরিজ হেলিকপ্টারসহ একটি বাংলাদেশ আর্মড মিলিটারি ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ইউনিট মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও জাতিসংঘের চলমান শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যগণ, স্টাফ অফিসার এবং মিলিটারি অবজারভার হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। পেশাগত অবদান ছাড়াও সিভিল-মিলিটারি কো-অপারেশন কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর শান্তিরক্ষীগণ সংঘাতময় অঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ, দুস্থ জনগণকে কারিগরি দক্ষতা অর্জনে সহায়তা এবং চিকিৎসা ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের জনগণের আস্থাই অর্জন করেন নি, মানবসেবায় বাঙালি জাতির আলোর দ্যূতি ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বব্যাপী।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে এর তাৎপর্য তুলে ধরে জাতীয় দৈনিকগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ হতে যাচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম আরও সফলতা অর্জন করুক এবং পুরো বিশ্বে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। এই বিশেষ দিনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য ও তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি রইল আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভ কামনা।’

কালের আলো/ডিএস/এমএম