নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

পেরু আর্মড ফোর্সেসকে উপহার হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তৈরি একটি অ্যাক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোসাল (ইওডি) রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেল (আরওভি) প্রদান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। রোববার (৫ মে) ঢাকা সেনানিবাসে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে এ উপহার তুলে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ইওডি আরওভি পেরু আর্মড ফোর্সেসকে হস্তান্তর করেন।

• আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) বিভাগের নতুন ভবন ও আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম, সেনাপ্রাঙ্গণ ভবন এর উদ্বোধন 
• সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে 
• সরকারের লক্ষ্য সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করা 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ব শান্তিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রগতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন আধুনিকায়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির যুগে পদার্পণ করেছে। পাশাপাশি জাতিসংঘের অন্যতম প্রধান শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের শান্তিরক্ষা মিশন সংক্রান্ত সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও আমরা সহযোগিতা প্রদান করে আসছি। পেরু আর্মড ফোর্সেসকে আরওডি প্রদান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ সক্ষমতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি বাংলাদেশের স্বনির্মিত একটি আরওভি।’

‘মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন-মিনুস্কাতে ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এর মৌলিক নকশা ও সক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এটিকে চূড়ান্ত আকারে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। মিনুস্কাতে সাম্প্রতিক আইইডি হুমকি বিবেচনায় কাউন্টার আইইডি সক্ষমতা বিকাশে এই ইওডি আরওভি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে’-বলেন সেনাপ্রধান।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, অনুষ্ঠানে পেরু আর্মড ফোর্সেসের ইন্সপেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল কার্লোস আলবার্তো রাবানাল কালডেরনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া, ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের রিজিওনাল কোঅরডিনেটর, জাতিসংঘ সদর দফতর থেকে লাইট কোর্ডিনেশন মেকানিজমের টিম লিডার, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বাহিনী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/আরআই/এমকে