ডিএনসিসির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, প্রকল্প সংশ্লিষ্টরাই পরিদর্শনে চীনে

প্রকাশিতঃ 9:21 pm | May 21, 2023

ইয়াছিন আরাফাত, কালের আলো:

বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বিদ্যুৎ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ডিএনসিসির আমিনবাজার ল্যান্ড-ফিল এলাকায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এই প্রকল্প। এ লক্ষ্যেই সরেজমিন প্লান্ট পরিদর্শনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জনে চীন সফরে গেছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। মূলত বৃহৎ এই প্রকল্পের কারিগরি বিষয়ে সংশ্লিষ্টরাই মেয়রের সঙ্গে চীন সফরে রয়েছেন। বিষয়টিকে নিয়ে পানি ঘোলা করতেই নানামুখী অপতৎপরতা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

ডিএনসিসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্তরাই সফরে রয়েছেন। দেশের সব সিটি করপোরেশনের মধ্যে ডিএনসিসিতেই প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এজন্য এ সফরটিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ডিএনসিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক প্রতিনিধি দলে রয়েছেন। মডেল এই প্রকল্পটিকে স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়নে নজর দেওয়া হয়েছে। এখানে অহেতুক বা অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফরের সুযোগ নেই। ডিএনসিসি বরাবরই এই বিষয়ে পূর্ণ সচেতন। 

১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন কালের আলোকে বলেন, ‘যেকোন বৃহৎ প্রকল্পে মাননীয় মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সুপারভিশন বাধ্যতামূলক। মেয়রের দাপ্তরিক ভিজিটে অবশ্যই একান্ত সচিবও যাবেন এটিই নিয়ম। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প সরাসরি সুপারভাইস করা হচ্ছে। প্রকল্পের যাবতীয় কর্মযজ্ঞ তারা বাস্তবায়ন করছেন। পলিসি বাস্তবায়নে তারা নেতৃত্ব দিবেন। এই প্রকল্পের শুরু থেকেই অদ্যাবধি যারা সম্পৃক্ত ছিলেন তারাই চীন সফরে রয়েছেন। এ নিয়ে কোন বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।’ 

জানা যায়, ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ১০ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলটি গত ১৮ মে থেকে চীন সফরে রয়েছেন। আগামী ২৫ মে পর্যন্ত তারা চীনে সরেজমিনে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করবেন। 

সপ্তাহখানেক আগে নগর ভবনে মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আতিকুল ইসলাম রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর উদ্যোগের কথা জানান। তিনি বলেন, ঢাকা সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন হবে। পাশাপাশি বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরির ব্যবস্থায় খুলবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।

ওইদিন মেয়র আরও বলেন, ‘কোনো সিটি করপোরেশন এর আগে এ ধরনের কাজ করতে পারেনি। উত্তর সিটি করপোরেশন ২০২৫ সালের মধ্যে ৪২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে পারবে।’

কালের আলো/ইএ/এমএইচ 

Print Friendly, PDF & Email