ফের সংলাপে বসতে চায় ঐক্যফ্রন্ট, তফসিল পেছাতে ইসিকে কামালের চিঠি
প্রকাশিতঃ 8:21 pm | November 03, 2018

বিশেষ প্রতিবেদক, কালের আলো:
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আবারও সংলাপে বসতে ইচ্ছুক জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বলে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তফসিল পেছানোর চিঠিতে জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কমাল হোসেন।
শনিবার ( ৩ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের দিনক্ষণ ঘোষণা না করার দাবিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ওই চিঠিতে ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আবারও সংলাপের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
ড. কামাল সাক্ষরিত চিঠিতে তিনি বলেন, আমরা জেনেছি ১ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে আপনারা দেখা করেছেন। উৎসাহের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা শেষে আপনারা বলেছেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশেষ করে সরকারি জোটের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক জোটের সংলাপের বিষয়টির প্রতি আপনাদের দৃষ্টি রয়েছে। আপনারা জানেন, ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তফসিল ঘোষণার বিষয়টি একান্তর ইসির এখতিয়ার।
তিনি আরো বলেন, আপনা নিশ্চয় অবগত আছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপ অব্যাহত রয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন ৮ নভেম্বরের পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের বিষয়টি আবারও বিবেচনায় রয়েছে। তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আবারো সংলাপে বসার ব্যাপারে ইচ্ছুক্।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আপনারা জানিয়েছেন ৪ নভেম্বর কমিশন বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
ইসির দৃষ্টি আকৃষণ করে আরও বলেন, আপনারা যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর সংলাপে অবগত আছেন এবং সেদিকে নজর রাখছেন সেই প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করি যে, তফসিল ঘোষণা ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া বিষয়টি চলমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ শেষ না হওয়া পযর্ন্ত ইসির অপেক্ষা করায় শ্রেয়।
ড. কামাল তার চিঠিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের স্টেকহোল্ডার উল্লেখ তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণা নির্বাচনের অন্যতম পদক্ষেপ। তফসিল ঘোষণার পরেই রাজনৈতিক দলগুলো এবং প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন। নির্বাচনে রাজনৈতিক দল হচ্ছেন অন্যতম স্টেকহোল্ডার । তাদের কর্মকাণ্ড এবং কর্মসূচি আমলে নেওয়া নির্বাচন কমিশনের মৌলিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপের মতো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ও একটি সম্ভাব্য রাজনৈতিক সমঝোতা একাদশ জাতীয় নির্বাচনসহ দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক গুণগত পরিবর্তন আনতে পারে। যা অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন আয়োজনে জন্য আপনাদের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে।
এ ব্যস্থায় প্রধামন্ত্রীর সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপ শেষে হওয়ার পর তফসিল ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, তফসিল ঘোষণার দিনক্ষণ নির্ধারণে আপনাদের এমন অপেক্ষা রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে নির্বাচনের কমিশনের প্রতি আস্থা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
কালের আলো/ওএইচ