‘অপুর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলেই বুবলীকে এড়িয়ে চলব, এমন নয়’

প্রকাশিতঃ 4:48 pm | July 11, 2025

বিনোদন ডেস্ক, কালের আলো:

সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত মুখ রুবাইয়াত ফাতিমা তনি। নারী উদ্যোক্তা ও ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেই পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। মূলত ফ্যাশন আইটেম ও শাড়ির ব্যবসা নিয়েই তনির ব্যস্ততা; তাই বিপুল সংখ্যক ভক্ত-অনুরাগী পেয়েছেন খুব অল্প সময়েই। তনি মনে করেন, দেশের নারীরা তাকে ভালোবাসেন এবং অনুপ্রেরণার জায়গা থেকে দেখেন।

তনির সঙ্গে দেশের বিনোদন অঙ্গনের সম্পর্কও নতুন নয়। ঢাকাই সিনেমার দুই জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে এই সম্পর্ক নিয়ে নানা সময় নানা গুঞ্জনও শোনা গেছে। অপু-বুবলীর দ্বন্দ্ব অনেক পুরোনো, আর এই দুই প্রান্তের দুই নায়িকার সঙ্গে তনির যোগাযোগ নিয়েও হয়েছে জলঘোলা।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তনি জানান, তার সঙ্গে বুবলীর কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা নেই। একটি শপিং মলের শোরুমে দেখা হলে স্বাভাবিকভাবেই দু’জনের মধ্যে সৌজন্যমূলক কথা হয়। একইভাবে অপু বিশ্বাসের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অপু তাকে ‘বোন’ বলে ডাকেন। তাই অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা মানেই বুবলীকে এড়িয়ে চলা— এমনটা কখনোই তিনি মনে করেন না।

তনি বলেন, ‘বুবলী আপুর সঙ্গে আমার খারাপ সম্পর্ক বা ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা হয়। উনি তো শপিং এ আসে। উনি আমাদের পাশের একটি শোরুমে এসেছিলেন, তো আমি তখন আমার শোরুমের সামনেই ছিলাম। তো ওখানে ওনার সঙ্গেই আমার দেখা হয়, উনি আমাকে দেখে কথা বলেন, আমি ওনাকে দেখে কথা বলি- তো এটা তো আন্তরিকতা, ভদ্রতা। তো ওনার সাথে তো আমার ব্যক্তিগত সমস্যাও নেই। অপুদি (অপু বিশ্বাস) যেমন আমাকে বোন ডাকে। তো অপুদির সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক থাকলে ওনার (বুবলী) সঙ্গে দেখা হলে কথা বলব না, ব্যাপারটা এরকম না।’

তনি বলেন, ‘অপুদি যখন আমার শোরুমে আসেন, বোরকা পরে আসছিলেন। কিন্তু কিছু মানুষ এটা নিয়ে এত রিউমার ছড়িয়েছে। অনেকে বলসে আমার বার্থডে তে অপুকে নিয়ে সেলিব্রেট করেছি, বুবলীকে নিয়ে করিনি- এসব হাবিজাবি নিয়ে সংবাদ, ভিডিও তৈরি করা হয়েছে।’

এদিকে, চলতি বছরের শুরু দিকে আরেক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার বারিশা হকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন তনি। তখন তাদের দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বুবলী। বলেছিলেন, ‘কেউ পেছন থেকে উস্কানি দেবেন না। তনির (আপু) সঙ্গে আমার কখনো দেখা হয়নি, আমার পরিচয়ও নেই। তনি কিংবা বারিশা দিন শেষে তারা সবাই পরিশ্রমী’।

কালের আলো/এসএকে