১১৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা
প্রকাশিতঃ 4:51 pm | March 18, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের পাঁচ বিভাগের ১৬ জেলার ১১৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে একটানা ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে প্রথম ধাাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।
সোমবার (১৮ মার্চ) অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটার এক কোটি ৭৯ লাখ নয় হাজার ছয়জন। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচনে যেমন ভোট নিয়ে উৎসাহ-উদ্দিপনা দেখা যায়, এবারের উপজেলা নির্বাচনে তা অনুপস্থিত। হাতেগোণা কয়েকটি উপজেলা ছাড়া বেশিরভাগ ভোট কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। ভোটার না আসায় পোলিং এজেন্টরা অলস সময় কাটিয়েছেন।
ভোটের সময় দেশের বিভিন্ন উপজেলায় ভোট বর্জনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর ও কাউখালী উপজেলায় রাতে ব্যালটে সিল, জাল ভোট, এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রেদ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার এক কোটি ৭৯ লাখ নয় হাজার ছয়জন। মোট ভোটকেন্দ্র ছিল সাত হাজার ৩৯টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এক হাজার ৩২৫ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৩৭৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৫৪৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৪০০ জন।
৪৮ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ২৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১৩ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১২ জন। এর আগে যে ছয়টি উপজেলার সব পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলো হলো চট্টগ্রামের রাউজান, মিরসরাই, নোয়াখালীর হাতিয়া, ফরিদপুর সদর, পাবনা সদর ও নওগাঁ সদর।
যেসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ
রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলার সদর, পীরগঞ্জ, হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গী ও রানীশংকৈল উপজেলা; রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ, পীরগাছা, বদরগঞ্জ, কাউনিয়া ও পীরগঞ্জ উপজেলা; গাইবান্ধা জেলার গাইবান্ধা সদর, সাদুল্যাপুর, গোবিন্দগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও পলাশবাড়ী উপজেলা; দিনাজপুর জেলার কাহারোল, বোচাগঞ্জ, চিরিরবন্দর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, হাকিমপুর বীরগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, বিরল, পার্বতীপুর, খানসামা ও ঘোড়াঘাট উপজেলা।
রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার সদর, নন্দীগ্রাম, সারিয়াকান্দি, আদমদীঘি, দুপচাঁচিয়া, ধুনট, শাজাহানপুর, শেরপুর, শিবগঞ্জ, কাহালু, গাবতলী ও সোনাতলা উপজেলা; নওগাঁ জেলার নওগাঁ সদর, আত্রাই, নিয়ামতপুর, সাপাহার, পোরশা, ধামইরহাট, বদলগাছী, রানীনগর, মহাদেবপুর, পত্নীতলা ও মান্দা উপজেলা; পাবনা জেলার পাবনা সদর, আটঘরিয়া, বেড়া, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, ঈশ্বরদী, সাঁথিয়া ও সুজানগর উপজেলা।
সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার সদর, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা; মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগর, সদর, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা।
ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলার সদর, বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন, সদরপুর, সালথা, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী, নগরকান্দা ও ভাঙ্গা উপজেলা।
চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা; চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, মীরসরাই, রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা; রাঙামাটি জেলার রাঙামাটি সদর, লংগদু, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, জুরাছড়ি, বাঘাইছড়ি, কাউখালী, বরকল, রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি উপজেলা; বান্দরবান জেলার সদর, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, থানচি, লামা, রুমা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা; খাগড়াছড়ি জেলার সদর, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়ি, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও রামগড় উপজেলা এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায়।
কালের আলো/এমএইচএ