এনজিওগুলোর সুদহার কমানোর বিকল্প নেই : গভর্নর
প্রকাশিতঃ 4:59 pm | November 15, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) দেশের সবচেয়ে গরিব মানুষদের কাছ থেকে বেশি সুদ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
তিনি বলেন, ‘এনজিওগুলোর সুদহার কমানোর বিকল্প নেই।’
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) ই-সেবা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণে নগদ টাকার বিনিময় কমিয়ে আনলে স্বচ্ছতা বাড়বে। সেবা করার জন্য এনজিও প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি, তবে কেন এত উচ্চ চার্জ নেওয়া হয়?’ তিনি উল্লেখ করেন, ক্ষুদ্রঋণে নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে হবে। নগদ টাকার বিনিময় কমিয়ে আনলে স্বচ্ছতা বাড়বে।
অধিক পরিমাণে লাভের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার তাগিদ দিয়ে গভর্নর আরও বলেন, ‘এনজিওগুলোর সুদহার কমানোর বিকল্প নেই।
প্রসঙ্গত, সারা দেশে এমআরএ নিবন্ধিত প্রায় ৮৮১টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ৭৪৭টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ২২ হাজার শাখার মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওগুলোর ঋণ আদায়ের হার ৯৮ ভাগের বেশি। দেশের ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি পরিবার ক্ষুদ্রঋণ পরিষেবার আওতায় রয়েছে। পরিবারপ্রতি গড়ে চারজন ধরা হলে প্রায় ১৪ কোটি মানুষ অর্থাৎ, দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষুদ্রঋণে সম্পৃক্ত রয়েছে।
এনজিওগুলোর জোট ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (সিডিএফ) তথ্যমতে, গ্রামীণ অর্থায়নের প্রায় ৭৩ শতাংশ জোগান আসে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে। বিতরণ করা ঋণের প্রায় ৪০ শতাংশ কৃষি এবং ৩১ শতাংশ বিনিয়োগ হয় ক্ষুদ্র উদ্যোগ খাতে।
সিডিএফের মতে, গ্রামীণ ও সেমি-আরবান অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র, উৎপাদনশীল ও সেবা খাতে ক্ষুদ্র ও উদ্যোগ ঋণের ধারাবাহিক সরবরাহ না থাকলে দেশে বিদ্যমান দারিদ্র্য হারের সঙ্গে প্রায় ১৪ শতাংশ দারিদ্র্য যুক্ত হতো। কারণ, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি অর্থাৎ প্রতি মাসে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে থাকে।
কালের আলো/ডিএস/এমএম