গ্রিসে বিধ্বস্ত কার্গো বিমান, কী বলছে আইএসপিআর?
প্রকাশিতঃ 5:59 pm | July 17, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
গ্রিসের উত্তরাঞ্চলীয় কাভালা শহরের পালেওচরি গ্রামে একটি কার্গো উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। সার্বিয়ার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
এ বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ডিজিডিপি (ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ ডিফেন্স পারচেজ) ক্রয় চুক্তির আওতায়, কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সার্বিয়া হতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর জন্য ক্রয়কৃত প্রশিক্ষণ মর্টার শেল বহনকারী একটি বিমান গ্রিসে বিধ্বস্ত হয়েছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, চালানে কোন অস্ত্র ছিল না এবং চালানটি বীমার আওতাভুক্ত।
এদিকে সোমবার (১৮ জুলাই) সার্বিয়া থেকে যাত্রা করার পর গ্রিসে বিধ্বস্ত কার্গো বিমানটির বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল বলে জানিয়েছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ওই ফ্লাইটটির ঢাকায় অবতরণের অনুমোদন ছিল। এটির ১৮ জুলাই দুপুর ১২টায় শাহজালালে অবতরণের কথা ছিল।
সার্বিয়ান মন্ত্রীর বরাত দিয়ে রোববার (১৭ জুলাই) আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানের আট আরোহীর সবাই মারা গেছেন। জর্ডান, সৌদি আরব ও ভারত হয়ে এই বিমানের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল বলেও জানান নেবোজসা স্টেফানোভিচ।
এএফপি বলছে, ইউক্রেনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের ওই বিমানটির ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়ায় পাইলট কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করাতে চেয়েছিলেন।
নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘রাত পৌনে ১১টার দিকে বিকট শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখি বিমানটি আগুনে পুড়ছে। পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।’
স্থানীয় একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে সাতটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি দুর্ঘটনাস্থলে যায়। তবে বিস্ফোরণের কারণে ঘটনাস্থলে গাড়িগুলোর পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়।
গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, স্থানটি নিরাপদ মনে না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকা পরিদর্শনে যাবেন না দেশটির সেনাবাহিনী, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল এবং পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্যরা।
কালের আলো/এসবি/এমএম