নিত্যপণ্যে স্বস্তি নেই, ঈদের পরেও ঊর্ধ্বমুখী

প্রকাশিতঃ 10:52 am | May 14, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঈদের পরও ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। কিছু পণ্যের দাম কমলেও সবজি, মাছ, মুরগিসহ বেশিরভাগ জিনিসপত্রের দাম বাড়তির দিকে। গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকা করে বিক্রি করা পেঁয়াজ এ সপ্তাহে আরও ১০ টাকা বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে ভোজ্যতেল, চাল, ডালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব কাঁচাবাজারেও পড়েছে। চাষি, ফড়িয়া, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। তাঁরা সবজি বিক্রি করে সেই খরচ ওঠাচ্ছেন।

রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার, কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, মরিচ ১০০ টাকা, টমেটো ৭০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, পেপে ৭০-৮০ টাকা, লাউ ৫০-৬০ টাকা, কুমড়ো পিস ৫০ টাকা, বাধাকপি ৫০ টাকা, করল্লা ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা প্রতি কেজি। দাম কেন বেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা আনিস মিয়া জানান, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়া্য় পাইকারি বাজারে দা্ম বেড়েছে। এছাড়া দেশে পেঁয়াজের ফলন কমে গেছে এ অজুহাতেও দাম বাড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রুই মাছ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা, কই ২৪০ টাকা, ইলিশ আকার ভেদে ৮০০-১০০০-১২০০ টাকা, দেশি শিং ১০০০, চাষের শিং ৫০০, আইড় ৫০০ টাকা, টাকি ২২০ টাকা, চিংড়ি কেজিপ্রতি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা করে। খাসির কেজি ৯০০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, লাল মুরগি ২৮৫ থেকে ২৯০, পাকিস্তানি ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকা করে।

কালের আলো/ডিএস/এমএম