করোনা নিয়ন্ত্রণে চীনের পরেই বাংলাদেশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 5:39 pm | November 22, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারের নানা উদ্যোগে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক উন্নত দেশের চেয়ে অনেক কম। জনসংখ্যার হিসেব করলে পৃথিবীর অনেক দেশের থেকে বাংলাদেশ কোভিড নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি কাজ করেছে। হয়তো চীনের নিচে থাকতে পারে কারণ চীনের হিসেবটি একটু আলাদা
সোমাবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বস্তিদায়ক জায়গায় রয়েছে। তবে সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। গত সাত দিনে ভারতে আড়াই হাজার, ভিয়েতনামে ৪৪০ ও থাইল্যান্ডে ৪৫৩ জন মানুষ মারা গেছে। আর বাংলাদেশে মারা গেছে ২৭ জন। আমি এও দেখেছি জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে মৃত্যুহার কম কোথায় আছে। জাপানে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ, তারপরেই বাংলাদেশে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। সবার ওপরে আছে চীন, শূন্য শতাংশ। আর বড় জনগোষ্ঠীর বাকি সব দেশে বেশি। এদিক থেকে আমি মনে করি বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে আছে।
তিনি বলেন, ‘গত এক মাস ধরে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আমরা চাই দেশের সংক্রমণ ও মৃত্যু শূন্যের কোটায় চলে আসুক। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে আশা করি মৃত্যু দ্রুতই শূন্যে নেমে আসবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনার কারণে পৃথিবীর অর্থনীতি মাইনাসে চলে গেছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া মাইনাস ২ দশমিক ৫, ইউরোপ শুধু ৫ থেকে ৬ প্লাসে আছে। এখানে করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ কমার অন্যতম কারণ হলো ভ্যাকসিন। আমরা ইতোমধ্যেই প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দিয়েছি ৫ কোটিরও বেশি মানুষকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি ৩ কোটির বেশি। দেশে প্রতিদিন গড়ে ১৫ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন পাচ্ছেন। নভেম্বরে তিন কোটি ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আর জানুয়ারি মাসের মধ্যে ৭০ ভাগ ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের কাছে ফাইজার, মডার্না, সিনোফার্মসহ ২ কোটি ৭৫ লাখের বেশি ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে। দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন কার্যক্রমও আমরা শুরু করেছি। গোপালগঞ্জে ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রক্রিয়া চলছে। সবমিলিয়ে অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ও অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, ইউএসএইড’র বাংলাদেশ মিশন পরিচালক ক্যাথরিন ইস্টিবস, আইএফআরসি বাংলাদেশের পরিচালক সঞ্জিব কাফলে, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহহাব, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইএফআরসি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড’র যৌথ উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ভ্যাকসিন সরবরাহে চারটি রেফ্রিজারেটেড ভ্যান দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আরও ১৪টি রেফ্রিজারেটেড ভ্যান দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল