কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিলেন আপিল বিভাগ
প্রকাশিতঃ 4:12 pm | November 22, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
ধর্ষণ মামলায় স্থগিতাদেশ থাকার পরও এক আসামিকে জামিন দেওয়ার ঘটনায় আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত থাকা এবং ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর সাবেক বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সিজ করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (২২ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠান।
এতে বলা হয়, ‘আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে বর্তমানে সংযুক্ত এবং ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর সাবেক বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার অদ্য সকাল ৯টা ৩০ ঘটিকায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগে সশরীরে উপস্থিত হন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ অদ্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ১ নং ক্রমিকের মামলায় শুনানি শেষে তার ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা ‘সিজ করা হয়েছে’ মর্মে আদেশ প্রদান করেন। পূর্ণাঙ্গ রায় পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।’
এর আগে সকাল ৯টার দিকে বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আপিল বিভাগে হাজির হন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে তার বিষয়ে রুদ্ধদ্বার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টার দিকে শুনানি শেষ হয়।
স্থগিতাদেশ থাকার পরও ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে জামিন দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিচারিক দায়িত্ব থেকে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া মোছা. কামরুন্নাহারকে তলব করেছিলেন আপিল বিভাগ। সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে এসেছিলেন তিনি।
যে মামলায় জামিন নিয়ে কামরুন্নাহারকে তলব করা হয়েছিল, সেই ফৌজদারি আবেদনটি আজ ‘রাষ্ট্র বনাম আসলাম সিকদার’ শিরোনামে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ১ নম্বর ক্রমিকে ছিল।
একই বিষয়ে গত বছরের ১২ মার্চ আপিল বিভাগ মোছা. কামরুন্নাহারকে ওই বছরের ২ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে বলেছিলেন। তবে করোনা মহামারির কারণে এ বিষয়ে আর শুনানি হয়নি।
বনানী রেইনট্রি হোটেল ধর্ষণ মামলায় গত ১১ নভেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর তৎকালীন বিচারক মোসা. কামরুন্নাহার ৫ আসামিকে খালাস দেন। রায়ে বিচারক ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা গ্রহণ না করার জন্য পুলিশকে সুপারিশ করেন।
এ সুপারিশের তীব্র সমালোচনা করেন আইন বিশেষজ্ঞ ও অধিকারকর্মীরা। তারা বলেছেন, এ রায় আইন ও বিচারের পরিপন্থী এবং ধর্ষকদের অপরাধ করতে উৎসাহিত করবে।
এ ঘটনার পর তাকে বিচারিক দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল