মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি-তাসকিনের ফিফটিতে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ
প্রকাশিতঃ 3:52 pm | July 08, 2021

স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলোঃ
গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে নিজের ৪৯তম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু পঞ্চাশতম ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হলো দীর্ঘ ১৬ মাস। কেননা রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পর ১৬ মাসের জন্য বাদ পড়ে যান দল থেকে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের একমাত্র ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। আগের দিনে গড়া ৮ উইকেটে ২৯৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে টাইগাররা। এদিন মাহমুদুল্লাহ ৫৪ ও তাসকিন মাঠে নামেন ১৩ রান নিয়ে।
শুরুতে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশের মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার। প্রথমে অধিনায়ক মুমিনুল হক ও লিটন দাসের পর ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির দেখাও পেয়ে গেছেন তিনি। ১৯৫ বল খেলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি

আর অভিজ্ঞ এই ডানহাতিকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। এরইমধ্যে তাসকিন দেখা পেয়ে গেছেন প্রথম টেস্ট ফিফটির। মাত্র ৬৯ বলে ৮ চারে সাজানো তার ইনিংস।
মাহমুদউল্লাহ ও তাসকিনের ৯ম উইকেট জুটিতে এরইমধ্যে উঠেছে ১২৭ রান, তাও মাত্র ১৪৬ বলে। অর্থাৎ দুজনে রান তুলছেন ওয়ানডে স্টাইলে।
দীর্ঘ ১৬ মাস পর টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ৮ নম্বরে। ততক্ষণে মাত্র ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপে বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে প্রথমে লিটন দাসকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে গড়েছেন ১৩৮ রানের জুটি।

দলীয় ২৭০ রানের মাথায় মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি থেকে দূরে থেকে আউট হন লিটন। পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ফলে আবার বাড়ে চাপ। মনে হচ্ছিল তিনশর আগেই হয়তো অলআউট হয়ে যাবে বাংলাদেশ দল।
কিন্তু তাসকিন আহমেদকে নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের দুর্দান্ত প্রদর্শনী করলেন মাহমুদউল্লাহ। সাদা পোশাকের ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হলো ধৈর্য্য, সেই ধৈর্য্য আর মনোসংযোগের চূড়ান্ত দেখিয়েই দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১০৪ ওভারে ৮ উইকেটে ৪০১ রান। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বাংলাদেশ দলের এটিই দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০৫ ও তাসকিন ৫২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।

কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল