পৃথক মামলায় ২৮ দিনের রিমান্ডে সাহেদ
প্রকাশিতঃ 3:16 pm | July 26, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
করোনা চিকিৎসায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদকে পৃথক চার মামলায় আরও ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২৬ জুলাই) ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এছাড়া রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজেরও পৃথক তিন মামলায় ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১০ দিনের রিমান্ড শেষে সাহেদ ও মাসুদ পারভেজেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাদের ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। বেলা ১২টা ১০ মিনিটে তাকে আদালতে তোলা হয়।
সাহেদের চার মামলায় ১০ দিন করে ৪০ দিন ও মাসুদের তিন মামলায় ১০ দিন করে ৩০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান, হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) আসামি সাহেদ ও মাসুদের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।
আসামিপক্ষে নাজমুল হোসেন, শাহ আলম, মো. মনিরুজ্জামান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ১৬ জুলাই সাহেদ ও মাসুদ পারভেজের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদিন ওই মামলায় রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন পুলিশ। একই আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ওইদিন অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুই মামলায় সাহেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। সাড়ে ১২টার দিকে তাদের আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ১৬ জুলাই প্রতারণার মামলায় সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।এরপর মঙ্গলবার (২১ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সাহেদের মামলার তদন্তের দায়িত্ব র্যাবকে দেওয়া হয়।
গত ১৫ জুলাই বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদকে।
কালের আলো/এমএইচএ/কেএসবি