যুক্তরাষ্ট্রের দুই অঙ্গরাজ্যে আকস্মিক বন্যা, জরুরি অবস্থা ঘোষণা

প্রকাশিতঃ 7:47 pm | July 15, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নিউইয়র্ক ও নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের কয়েকটি এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে শহরগুলোর অনেক সড়ক প্লাবিত হয়ে বহু যানবাহন আটকা পড়েছে এবং সাবওয়ে রেল স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে কতৃপক্ষ। খবর এপির।

গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক এবং পেনসিলভানিয়ার বেশিরভাগ এলাকায় আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কিছু রাস্তায় পানি জমে ছিল।

নিউজার্সির গভর্নর ফিল মারফি আকস্মিক বন্যা এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে মানুষকে ঘরের ভেতরে থাকার এবং অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিউজার্সির নর্থ প্লেইনফিল্ডের প্লাবিত একটি এলাকায় একটি বাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং ভেতরে থাকা পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই এটি ধসে পড়ে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটি জানিয়েছে, নিউইয়র্ক সিটিতে কিছু সাবওয়ে স্টেশন সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যেগুলো সচল আছে সেখানেও বন্যার কারণে ট্রেনগুলো দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ম্যানহাটনের একটি সাবওয়ে স্টেশনে পানি ঢুকে পড়েছে এবং প্ল্যাটফর্ম ডুবে গেছে, এমনকি ট্রেনের বগির ভেতরও পানি প্রবেশ করেছে। আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পানি যেন গায়ে না লাগে সেজন্য যাত্রীদের ট্রেনের সিটে দাঁড়িয়ে আছেন।

নিউইয়র্কের জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থা জানিয়েছে, সোমবার সবচেয়ে বেশি স্টেটেন দ্বীপে প্রায় ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি (১০.২ থেকে ১৫.২ সেন্টিমিটার) বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখানে বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব পেনসিলভানিয়ার মাউন্ট জয়ে সোমবার পাঁচ ঘণ্টারও কম সময়ে ৭ ইঞ্চি (১৭.৮ সেন্টিমিটার) বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় সেখানে দুর্যোগকালীন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে স্থানীয় দমকল বিভাগ।

মাউন্ট জয়ে কিছু মানুষ তাদের বাড়িতে ৫ ফুট (১.৫ মিটার) বেশি পানি জমে থাকার কথা জানিয়েছেন। জরুরি উদ্ধারকারীরা সেখানে ১৬টি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে বহু মানুষকে নিরাপদ আশয়ে নিয়ে গেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কালের আলো/এএএন