২৭ জন নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলায় হয়নি: পুলিশ

প্রকাশিতঃ 7:31 pm | July 15, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

গত ৬ মাসে সাম্প্রদায়িক হামলায় ২৭ জন নিহত হয়েছে বলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য মোর্চার দাবি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘কোনো হত্যাকাণ্ডই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বা সাম্প্রদায়িকতার কারণে সংঘটিত হয়নি মর্মে তদন্তে পাওয়া গেছে।’

এই ২৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনাগুলো পুলিশ পর্যালোচনা করেছে উল্লেখ করে আরও বলা হয়েছে, ‘২৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনার মধ্যে ২২টি ঘটনায় নিয়মিত হত্যা মামলা এবং পাঁচটি ক্ষেত্রে অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে।’

এছাড়াও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গত ১০ জুলাই যে সংবাদ সম্মেলন করেছিল, তাতে গত ১১ মাসে ২৪৪২টি সাম্প্রদায়িক হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছিল। একই সঙ্গে ধর্ষণ বা যৌন হয়রানি বা গণ ধর্ষণ সংক্রান্ত মোট ২০টি ঘটনার কথাও জানানো হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, ২০টি ঘটনার মধ্যে ১৬টি ঘটনার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে এবং ২৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনটি ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

রাজশাহীর তানোরে আদিবাসী নারী ধর্ষণের শিকার ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তের সঙ্গে আগে থেকে বাদীনির পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল মর্মে জানা যায় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে পুলিশ।

এছাড়া মাগুরার শ্রীপুর হরিনন্দী গ্রামে কিশোর কুমার রায়ের বাড়িতে ডাকাতির পর সহধর্মিণীকে গণধর্ষণের ঘটনাটিতে কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি এবং ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঐক্য পরিষয়দ জানিয়েছিল, সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটে গত বছরের ৪ অগাস্ট থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত। দুই হাজার ১০টি ঘটনার মধ্যে এক হাজার ৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক আক্রমণ এবং হামলার ঘটনা।

পুলিশ এই এক হাজার ৭৬৯ টি হামলার ঘটনা যাচাই-বাছাই করেছে বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে ৫৬টি জেলায় মোট ১৪৫৭টি ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এগুলোর মধ্যে এক হাজার ২৩৪টি ঘটনা রাজনৈতিক বিরোধ সংক্রান্ত এবং ১৬১টি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংঘটিত প্রত্যেকটি ঘটনায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, সব স্থাপনা ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে পুলিশ।

কালের আলো/এএএন