দলীয় শতক পেরুলো বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ 9:37 pm | June 20, 2019

স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলো:

সাকিব-তামিমে দলীয় শতক পূর্ন হয়েছে বাংলাদেশের, তবে এর পর পরই মার্কাস স্টয়নিসের বলে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪১ বলে ৪১ রান।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৮.১ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০২ রান। তামিম অপরাজিত আছেন ৪৪ রানে।

বিশাল রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। দুই ওপেনার তামিম-সৌম্য উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু প্যাট কামিন্সের করা চতুর্থ ওভারে অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরেছেন টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকার। মূলত তামিম আর সৌম্য’র ভুল বোঝাবুঝিতেই এই সর্বনাশ। ২৩ রান তুলতেই ১ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এর আগে নটিংহ্যামে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাটিং করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি, উসমান খাজা ও অ্যারন ফিঞ্চের ঝড়ো ফিফটিতে ভর করে বাংলাদেশের সামনে ৩৮২ রানের বিশাল টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

ডেভিড ওয়ার্নার হাঁকিয়েছেন চলতি বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় ও ১৬তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দিয়ে ছাড়িয়ে যান চলতি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে জেসন রয়ের গড়া কীর্তি। ইংলিশ ওপেনারের ১৫৩ ছিল এতদিন সর্বোচ্চ, যা ছাড়িয়ে ডাবল সেঞ্চুরির দিকে ধাবিত হচ্ছিলেন ওয়ার্নার। তবে তার ১৪৪ বলে ১৬৬ রানের ঝড় থামান সৌম্য। ১৪ চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো এই ইনিংসটি অবশ্য সাকিব আল হাসানের কীর্তিও ম্লান করে দিয়েছে। চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (৪৪৭ রান) এখন অজি ওপেনার।

এর আগে ৪ বাউন্ডারিতে সাজানো নিজের ১১তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন উসমান খাজা। ঠিক ৫০ বলে এসেছে তার এই ফিফটি। ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন অজি অধিনায়ক ও ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চও। অর্থাৎ, অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ৫০ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন।

ওয়ার্নারের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে মাত্র ১০ বলে ৩২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। ২ চার আর ৩ ছক্কায় সাজানোর এই ইনিংসটি শেষ হয় রুবেল হোসেনের রান আউটের শিকার হয়ে। তবে আউট হওয়ার আগে তিন আর খাজা মিলে রুবেলের এক ওভারে নেন ২৫ রান।

ম্যাক্সওয়েল বিদায় নিলেও ক্রিজে বিপদ হয়ে ছিলেন খাজা। সৌম্য সরকারের করা ইনিংসের ৪৭তম ওভারের পঞ্চম বলে অর্থাৎ কিন্তু ম্যাক্সওয়েল বিদায় নেওয়ার ঠিক ২ বল পরেই মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭২ বলে ৮৯ রান করা খাজা। এরপর স্টিভ স্মিথকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে দ্রুত বিদায় করেন মোস্তাফিজুর রহমান।

এক সময় ৩১৩ রানে ২ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া ৩৫৪ রান তুলতেই হারায় আরও ৩ উইকেট। বিশেষ করে ৩৫২ রানে ম্যাক্সওয়েলের বিদায়ের পর মাত্র ২ রান যোগ করতেই আরও ২ উইকেট হারায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তবে শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজের করা শেষ ওভারে ১৩ রান নিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে অজিরা। ২০১৫ বিশ্বকাপে আফগানদের বিপক্ষে ৪১৭ রান বিশ্বকাপে তাদের সেরা স্কোর, যা আবার বিশ্বকাপ ইতিহাসেও সর্বোচ্চ।

বল হাতে টাইগার বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং করেছেন সৌম্য সরকার। ৮ ওভারে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন এই পার্ট-টাইম বোলার। ১ উইকেট ঝুলিতে পুরলেও ৯ ওভারে ৬৯ রান খরচ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।

কালের আলো/এআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email