দুর্নীতি ও অনাকাঙ্খিত তদবিরের প্রশ্রয় দেয়া হবে না, সংসদে গণপূর্তমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 8:29 pm | June 20, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দুর্নীতির ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছেন, তা বাস্তবায়ন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী একথা বলেন।

আবাসন সংকট সমাধানে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী অদূর ভবিষ্যতে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না।

দেশের দারিদ্র্য ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য ৪টি বিশেষ উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বিনা টাকায় গৃহের ব্যবস্থা করা হবে, ২৫ বছরের ভাড়ায় আবাসনের মালিক হবেন।

গৃহায়নমন্ত্রী বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ের কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। ওই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ৬২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনিয়মের বিষয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটকে বাস্তবায়নযোগ্য এক অনন্য বাজেট হিসেবে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, সমালোচনার জন্য সমালোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু এটি একটি সুষম বাজেট।

বিরোধী দলের সমালোচনা করে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, তারা দেশের কোনো উন্নয়ন দেখে না। পদ্মাসেতু নিয়ে তাদের নেত্রীর বক্তব্য মেনে চললে, তারা এ সেতুতে উঠবেন না—নৌকায় নদী পার হবেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির সমালোচনা করে রেজাউল করিম বলেন, যে এতিমের টাকা মেরে খায়, যার ছেলেরা দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত তার মুক্তির দাবি এ সংসদে জানানো হচ্ছে। এটা জাতির জন্য লজ্জার।

তিনি বলেন, এ দেশে যত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়েছে তার সবগুলোই হয়েছে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সময়ে। আওয়ামী লীগের সময়ে যেসব ঘটনা ঘটেছে তার সবগুলোর বিচার হয়েছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ড, নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে।

কালের আলো/এআর/এমএম