ময়মনসিংহে পুত্রবধূর হাতে শাশুড়ি খুন
প্রকাশিতঃ 9:23 pm | March 01, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে পুত্রবধূর হাতে শাশুড়ি রমিজা খাতুন (৬২) খুন হয়েছেন।
বুধবার রাত ৯টায় উপজেলার চারিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ পুত্রবধূ খাদিজা খাতুনকে (৩৫) আটক করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তা ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গফরগাঁও সার্কেল) রায়হানুল ইসলাম ও গফরগাঁও থানার ওসি আব্দুল আহাদ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চারিপাড়া গ্রামের মৃত শামছুল হক আকন্দের স্ত্রী রমিজা খাতুনকে একমাত্র ছেলে ইসলাম আকন্দ, ছেলের বৌ খাদিজা খাতুন প্রায়ই গালিগালাজ ও নির্যাতন করতেন। ছেলে ও ছেলের বৌ-এর সঙ্গে বনিবনা না থাকায় রমিজা খাতুন বাড়িতে পৃথকভাবে রান্না খাওয়া ও বসবাস করতেন। গতকাল বুধবার রাত ৯টায় রমিজা খাতুন নিজের ঘরে রাতের খাবার খেতে বসেন। এ সময় পুত্রবধু খাদিজা খাতুন হঠাৎ ধারালো দা দিয়ে রমিজা খাতুনকে বুকে, পেটে ও গলায় উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেন।
স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে গফরগাঁও থানার ওসি আব্দুল আহাদ খানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তা ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ সময় পুলিশ ঘাতক খাদিজাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত রমিজা খাতুনের ছোট ভাই আবুল হোসেন বলেন, ‘আমার বোন বাড়িতে খুব কষ্টে ছিলেন। ছেলে ও ছেলের বৌ খাদিজা আর নাতি নাতনিরা কথায় কথায় আমার বোনকে অত্যাচার নির্যাতন করতো। কয়েক মাস আগেও ভাগ্নে ইসলাম আমার বোনকে দা দিয়ে কোপ দিয়েছিল। কিন্ত কোপটি গাছে লাগায় বোন প্রাণে রক্ষা পান। আমরা বোনের হত্যার বিচার চাই।’
নিহতের ছেলে ইসলাম আকন্দ বলে, ‘মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা আমার ঠিক হয়নি। বুঝতে পারিনি বৌ আমার মাকে খুন করে ফেলবে।’
গফরগাঁও থানার ওসি আব্দুল আহাদ খান বলেন, ‘এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকারী খাদিজাকে আটক করা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে খাদিজাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেল হাজতে পাঠানো হবে।’
কালের আলো/ওএইচ