থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সীমান্ত বন্ধ, সেনাদের সংঘর্ষে দুজন নিহত
প্রকাশিতঃ 2:11 pm | July 24, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
কম্বোডিয়ার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় থাইল্যান্ডের দুই বেসমারিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এর জেরে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করেছে থাই সরকার। ফিরে আসতে বলা হয়েছে, কম্বোডিয়ায় বসবাসকারী থাই নাগরিকদের।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই গোলাগুলি হয় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে। থাই প্রশাসন জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে এক শিশুও আছে।
একজন সরকারি কর্মকর্তার বরাতে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম থাই পিবিএস জানিয়েছে, কম্বোডিয়া আজ সকালে থাইল্যান্ডের একটি গ্রামের মাঝখানে দুটি বিএম-২১ রকেট নিক্ষেপ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সুরিন প্রদেশের কব চুয়াং জেলায়। নিরাপত্তার কারণে ৮৬টি গ্রামের ৩০ থেকে ৪০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
কম্বোডিয়া অভিযোগ করেছে, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে থাই সেনাবাহিনী কম্বোডিয়ান সামরিক অবস্থানে নৃশংস হামলা চালিয়েছে। এর জবাবে কম্বোডিয়াও থাইল্যান্ডের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিম্নস্তরে নামিয়ে এনেছে।
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী বান দান জেলার বাসিন্দা সুতিয়ান ফিউচান বলেন, এলাকাবাসী ইতোমধ্যেই সরে যেতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি সত্যিই গুরুতর।
সীমান্ত নিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার বিরোধের ইতিহাস বেশ পুরোনো। ফরাসি শাসনামলে কম্বোডিয়ার সীমানা নির্ধারণের সময় থেকে এই বিরোধের শুরু। ২০০৮ সালে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের একটি মন্দিরকে কম্বোডিয়া ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে নিবন্ধনের চেষ্টা করলে থাইল্যান্ড প্রতিবাদ জানায়। তখনই সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। যেটির জেরে বিভিন্ন সময় দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের সেনা ও বেসামরিক লোকজন প্রাণ হারিয়েছেন।
কালের আলো/এসএকে