বেকারত্বের হার ৩.৮০%, শিক্ষায় এগিয়ে হাজং জনগোষ্ঠী: বিবিএস
প্রকাশিতঃ 6:03 pm | January 28, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
শেরপুরে ২০ হাজার ৮৪০ জন ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠী মানুষ বাস করে। প্রত্যেক পরিবারে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ মানুষ বাস করে। এর মধ্যে ১৫ থেকে অধিক বয়সের মানুষের মধ্যে কর্মসংস্থানের হার ৫১ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। অন্যদিকে এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ শিক্ষিত। এরমধ্যে পুরুষ ৬৯ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং নারী ৫৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ শিক্ষিত। সবচেয়ে বেশি শিক্ষার হার হাজং জনগোষ্ঠীর। এ জনগোষ্ঠীর পুরুষদের মধ্যে ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ এবং নারী ৬৮ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষিত।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক পরিচালিত ‘শেরপুর জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের আর্থ- সামাজিক অবস্থা জরিপ ২০২৪’ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পটির পরিচালক ফারহানা সুলতানা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেরপুর সদর উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৬ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং নারী ১৯ দশমিক শূণ্য ৭ শতাংশ। অন্যদিকে শেরপুরের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির কর্মসংস্থানের হার ১৫ থেকে বেশি বছর বয়সের মানুষের মধ্যে ৫১ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
এরমধ্যে ঝিনাইগাটি উজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং নারী ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশ।
নকলা উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং নারী ২০ দশমিক ৯২ শতাংশ।নালিতাবাড়ি উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং নারী ২৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
শ্রীবরদী উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৪ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং নারী ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেরপুর জেলায় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর মধ্যে বেকার হার ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এর মধ্যে ঝিনাইগাটি উপজেলায় বেকার পুরুষ ৩ দশমিক শূণ্য ২ শতাংশ এবং নারী বেকার ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
নকলা উপজেলায় পুরুষ বেকার ৪ দশমিক শূণ্য ৪ শতাংশ এবং নারী ৩ দশমিক শূণ্য ২ শতাংশ।
নালিতাবাড়ি উপজেলায় পুরুষ বেকার ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।
শেরপুর সদর উপজেলায় বেকার পুরুষ ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং নারী ৭ দশমিক ১০ শতাংশ।
সিরিবারদি উপজেলায় বেকার পুরুষ ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং নারী ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অথিথি হিসেবে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ সিদ্দিক, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হামিদুল হক, পোভার্টি ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব দীপঙ্কর রায় প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এমডিএইচ