দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা সেল চালু

প্রকাশিতঃ 6:29 pm | August 23, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহায়তা সমন্বয় সেল’ চালু করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুগ্মসচিব মো. হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে তিনটি শিফটে এ সেল কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা, দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা এবং রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত তিনটি শিফটে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রশাসন-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন উপসচিব মিন্টু চৌধুরী।

দুর্যোগকালীন যেকোনো ধরনের সহায়তা পেতে সংশ্লিষ্টজনের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তার লক্ষে জননিরাপত্তা বিভাগে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহায়তা সমন্বয় সেল’ স্থাপন করা হয়েছে। এ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. হারুন-অর-রশিদ এই সেলের দৈনন্দিন কার্যক্রম তত্ত্বাবধায়ন করবেন।

একদিকে ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল; তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতের ত্রিপুরা থেকে ছুটে আসা পানির তোড়। সব মিলিয়ে দেশের পূর্বাঞ্চলের সিংহভাগ এলাকা এখন পানির নিচে। কোথাও কোমরপানি, কোথাও ঘরের চালা ছুঁই ছুঁই। তলিয়েছে সড়ক-মহাসড়ক, রেলপথও। ডুবেছে ফসলের মাঠ, ভেসে গেছে চাষের মাছ। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে আকস্মিক এই বন্যায় কী করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে—তাৎণিকভাবে বুঝে ওঠাই মুশকিল হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের জন্য।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান জানান, এখন পর্যন্ত দেশে ১১টি জেলা বন্যাকবলিত। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ। পানি বন্দি ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯টি পরিবার। এছাড়া সাত জেলায় এখন পর্যন্ত দুই নারীসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বন্যাক্রান্ত জেলাগুলো হলো— ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি।

বন্যা পরিস্থিতি ধীরগতিতে উন্নতি হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৯ মানুষ। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫২ লাখ নগদ টাকা, ২০ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন চাল, ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।’

উদ্ধার কাজে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, রবার স্কাউট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাসহ সাধারণ মানুষ উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

কালের আলো/এমএএইচ/ইউএইচ