বিগত বছরের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে: হাইওয়ে পুলিশপ্রধান

প্রকাশিতঃ 5:15 pm | April 07, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

হাইওয়ে পুলিশপ্রধান শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, ঈদের আর মাত্র ২-৩ দিন বাকি থাকলেও এবার স্বাচ্ছন্দ্যময় এক ঈদযাত্রা লক্ষ্য করছি। আমরা এ ধারাবাহিকতা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে চাই। আশা করি, গতবারের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা আরও নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে। ঈদের দিন পর্যন্ত আমরা সবাই মাঠে কাজ করে যাবো।

রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

চালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাইওয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য আমরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছি। ঈদে সবসময় দুর্ঘটনায় একটা শঙ্কা থাকে। এসময় মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। ঈদের আগের চেয়ে ঈদের পর দুর্ঘটনা বেশি হয়। যানবাহন চালকদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে তারা যেন ট্রাফিক নিয়মগুলো মেনে চলেন। আমরা দ্রুতগতিতে যেন চলাচল না করি। মুহূর্তের তাড়াহুড়োর কারণেই যানজট সৃষ্টি হতে পারে, দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘ঈদের পর ফাঁকা সময়ে লক্ষ্য করা যায় আমাদের কিশোর ছেলেরা বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালায়। এর মাধ্যমে অনেক তরুণের প্রাণহানি ঘটে। যার ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই সে যেন কোনোভাবেই গাড়ি নিয়ে না বের হয়। মহাসড়কে আমরা সবসময় কঠোর থাকবো। যেসব মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হতে পারে সেখানে আমরা সিসি ক্যামেরা বসিয়েছি। সবার সমন্বয়ে আমরা নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে চাই।’

এ সময় হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, খোলা ট্রাক, পিকআপ, পণ্য পরিবহনে অনেক যাত্রী উঠে বসে। এটা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা এই বছর কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি যেন কোনো যাত্রী সাধারণ এসব পরিবহনে না উঠে। আমরাও কিন্তু আইন প্রয়োগে কঠোর থাকব। চালক ও মালিকদেরও আমরা অনুরোধ করব, এসব ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার যেন না করে। এতে আমাদের ঈদযাত্রা নিরাপদ হবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে আছে উল্লেখ করে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান বলেন, এই মহাসড়কে এক হাজার ৪২৭টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা এখানো উদ্বোধন করতে পারিনি কিন্তু আমরা এর সুবিধা ভোগ করতে পারছি। প্রতিটি হাইওয়ে পুলিশ সদস্যকে বডি ওন ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি, চালক, যাত্রী ও পথচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের প্রতিবন্ধকতা জানতে চান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি নাবিলা জাফরিন, কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক, কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন প্রমুখ।

কালের আলো/এসবি/এমএইচএ