ওয়ার্ল্ড মিলিটারি আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দিলেন সেনাপ্রধান

প্রকাশিতঃ 11:24 pm | February 28, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

তৃতীয় ওয়ার্ল্ড মিলিটারি আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে এ প্রতিযোগিতা শেষ হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন দিনের এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান বিজয়ী আর্চারদের পুরস্কার প্রদান করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম।

আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত তিনদিনের এ আর্চারি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্য ও দক্ষতা প্রদর্শন করেন। পাশাপাশি সামরিক জীবনের শৃংখলাবোধ এবং ঐক্যের উজ্জ্বল নিদর্শন প্রদর্শন করে। রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা, স্লোভেনিয়া, রোমানিয়া, কোরিয়া, পাকিস্তান, ইরান, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রাজিল, বেলারুশ ও বাংলাদেশসহ ১২টি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর ১০৭ জন আর্চার পুরুষ এবং মহিলা ক্রীড়াবিদ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় পারদর্শিতা ও দক্ষতা প্রদর্শন করে ব্রাজিল সর্বোচ্চ ছয়টি স্বর্ণ পদক এবং ফ্রান্স তিনটি রৌপ্য ও তিনটি ব্রোঞ্চ পদক পেয়ে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ওয়ার্ল্ড মিলিটারি আর্চারি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ক্রীড়াবিদ, কোচ এবং সহায়তা প্রদানকারী সকলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এসময়ে প্রধান অতিথি সিআইএসএম ওয়ার্ল্ড মিলিটারি আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলো বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ভ্রার্তৃত্ববোধকে আরও জাগিয়ে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর যৌথ সমন্বয়ে আয়োজিত ৩য় সিআইএসএম ওয়ার্ল্ড মিলিটারি আর্চারি প্রতিযোগিতা বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য এবং ভ্রার্তৃত্ববোধের একটি অনন্য সুযোগ তৈরি করেছে।

কালের আলো/ডিএস/এমএম