বিএনপির সমাবেশ ইস্যুতে মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতি, যা বলছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রকাশিতঃ 5:55 pm | October 23, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে রাস্তাঘাট বন্ধ করা সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হয়নি বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। তবে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতির জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাল্টা বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ, চলমান দুর্গাপূজা, রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন প্রশ্ন ও মতামত জানতে চান। পরে মন্ত্রী মিডিয়া ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয় এবং আলোচনা বহির্ভূত প্রশ্নের উত্তর দেন। তবে মন্ত্রীর বক্তব্য অস্বীকার করে মার্কিন দূতাবাস যে বক্তব্য দিয়েছে সেটার কোনো জবাব নেই এই বিবৃতিতে।
এর আগে রবিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। বৈঠক শেষে মন্ত্রী জানান, বিএনপির সমাবেশে সরকার সড়কে কোনো বাধা দেবে কিনা সেব্যাপারে রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছেন। জবাবে তিনি জানিয়েছেন সরকারের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে তিনি (পিটার হাস) জানতে চেয়েছেন বিএনপি যে একটি বিরাট কর্মসূচি দিয়েছে সেখানে অনেক লোক নিয়ে আসবে, সরকার রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবে কি না, কিংবা তোমরা অন্য কিছু করবা কি না। আমরা বলেছি, ওই ধরনের কোনো প্রোগ্রাম আমাদের নেই। আমরা মনে করি, তারা যে রাজনৈতিক এজেন্ডা দিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে করবেন। কর্মসূচি যদি তারা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেন, তবে আমাদের কিছু বলার নেই।’
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর বিষয়টি অস্বীকার করে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। এতে বলা হয়, ‘আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সড়ক বন্ধের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়নি। রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ এবং হস্তক্ষেপমুক্ত অংশগ্রহণের গুরুত্ব ব্যক্ত করেন।’
দূতাবাসের এমন পর বিবৃতির পর এ নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।
এরপরই সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিবৃতি দিল। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২২ অক্টোবর বেলা আড়াইটায় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। অত্যন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাতে আসন্ন নির্বাচন, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ, চলমান দুর্গাপূজা, মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বিষয় এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় রাষ্ট্রদূত উল্লেখিত বিষয়সমূহ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও মতামত জানতে চেয়েছেন। সৌজন্য সাক্ষাতের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিডিয়া ব্রিফিং করেন। মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের প্রেক্ষাপটে পূর্বাপর আলোচনার মর্মার্থ এবং তথ্যের ভিত্তিতে মন্ত্রী আলোচনা বহির্ভূতও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।’
তবে দূতাবাস মন্ত্রীর বক্তব্য অস্বীকার করে যে বিবৃতি দিয়েছে সেব্যাপারে কিছু বলা হয়নি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।
কালের আলো/এসবি/এমএম