ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ৮০ লাখ গ্রাহক

প্রকাশিতঃ 1:39 pm | October 25, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সারাদেশের প্রায় ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেছেন, আজ বিকেলের মধ্যে ৭০ শতাংশের বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে এবং আগামীকাল (বুধবার) দুপুরের মধ্যে সম্পূর্ণ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এদিকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে সিত্রাংয়ে ছয় জেলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর অন্তত দুই শতাধিক স্থানে গাছ ভেঙে সড়কে পড়েছে। এতে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

এদিকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দুই প্রতিষ্ঠান আরইবি এবং ওজোপাডিকো।

জানা যায়, সকাল বেলাও আরইবির প্রায় ৮৯ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় ছিল। এখন ধীরে ধীরে মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হচ্ছে। বিকাল নাগাদ উন্নতির আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়া, ট্রান্সফরমার পরিবহন করে নিয়ে যেতে সময় লাগছে।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (আরইবি) অধীন এলাকায় গতকাল রাত ১২টার হিসাবে ৩১টি সমিতির প্রায় ৮৭ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এতে করে উপকূলীয় প্রায় ২৫ জেলা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিল। এরপর রাতভর চলে ঝড়ের তাণ্ডব। এতে করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয় আরও কিছু।

সকালের হিসাবে আরইবি সূত্র জানায়, ৩৫টি সমিতির প্রায় ৮৯ লাখ ৯৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। গভীর রাতে কাজ করা সম্ভব না হওয়ায় সকালে বিদ্যুৎ লাইন সচল করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে অনেক এলাকায় পানি থাকায় কাজে বিঘ্ন ঘটছে। বিকাল নাগাদ অনেক সমিতির বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কিছু দুর্গম এলাকায় আরও বেশি সময় লাগতে পারে বলেও জানানো হয়

ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, আমাদের চারটি এলাকা ছাড়া অন্য সব জায়গাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এরমধ্যে ঝালকাঠি, চরফ্যাশন, ভাঙ্গা এবং সদরপুরে কাজ চলছে। এসব জায়গায় বিদ্যুৎ আসতে কিছুটা সময় লাগবে।

কালের আলো/ডিএসবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email