পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুটা অসুস্থ সে কারণে তিনি যাননি : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 7:12 pm | September 06, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

চার দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সঙ্গে যাওয়ার কথা থাকলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শেষ মুহূর্তে যেতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সবসময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরসঙ্গী হন না। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন, শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েছেন। তার কারণ হলো তিনি কিছুটা অসুস্থ ছিলেন।

মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে গতকাল তিনি অফিস করলেন কীভাবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কিছুটা অসুস্থ থাকলে অফিস করা যায়। কিন্তু এরকম হাই লেভেল ভিজিট করা কঠিন বা সম্ভব নয়। আমিও তো কিছুটা অসুস্থ থাকলেও অফিস করি। কিন্তু সে অসুস্থ অবস্থায় আমার পক্ষে কি বিদেশ সফর করা সম্ভব, সম্ভব না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অসুস্থ থাকার কারণে সফর নির্ধারিত থাকার পরও তিনি যাননি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতবার ভারত সফরে গিয়েছেন ততবার খালি হাতে ফিরে এসেছেন—এ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে কথাটি বলেছেন, সেটা বিএনপি ও বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার জন্য প্রযোজ্য। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারত সফর গিয়েছিলেন, সফর থেকে ফেরার পর তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে কী কথা হয়েছে। তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন—আল্লাহ আমি ওটা ভুলেই গিয়েছিলাম। যাদের নেত্রী ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানি ন্যায্য হিস্যার কথা বলতে ভুলে যান, তারা আবার এসব কথা বলে। তারাই সব সময় ভারতকে সব দিয়েছেন, কিছু আনে নি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার ও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার ও রক্তের অক্ষরে লেখা। এই সরকারের আমলেই আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। কিন্তু আমাদের সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে। আমাদের সরকার পারস্পরিক সস্পর্কের মাধ্যমে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের সরকার ভারত থেকে অনেক কিছু আদায় করেছে। প্রধানমন্ত্রী পর পর তিন বার রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। এরমধ্যে প্রথমবার ভারত থেকে ২০ পণ্য বাদে সকল পণ্যের ওপর ট্যারিফ সুবিধা আদায় করেছেন। ১৯৭৪ সালের মৈত্রী চুক্তি অনুযায়ী ছিটমহলগুলো আমাদের হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি কয়েক দফা ক্ষমতায় ছিল, এরশাদ সাহেব ক্ষমতায় ছিল, তারপর আরও জরুরি সরকার ক্ষমতায় ছিল।

তিনি বলেন, কেউ ছিটমহলের অধিকার আদায় করতে পারেনি। সেটা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের সাথে আলচনা করে আদায় করেছে। ফলে ছিটমহলগুলো আমাদের অধিকারে এসেছে এবং আয়তন বেড়েছে। আমাদের সরকারই ভারতের সাথে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছে। সুতরাং ভারতের কাছ থেকে যা কিছু আদায় আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে, জননেত্রী শেখ হাসিনাই করেছেন। আর বিএনপি সব দিয়ে এসেছে।

কালের আলো/ডিএসবি/এএ