সিলেটের সেই প্রবাসী পরিবারের বাবা, ভাইয়ের পর চলে গেলেন সামিরাও

প্রকাশিতঃ 2:46 pm | August 06, 2022

কালের আলো প্রতিবেদক:

গত ২৬ জুলাই সিলেটের ওসমানীনগরের একটি বাসা থেকে একই পরিবারের পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে থানা পুলিশ। হাসপাতালে নেওয়ার পর এদের মধ্য থেকে রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার ছোট ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৬) মারা যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেই পরিবারের আরেক সদস্য সামিরা বেগমের (২০) মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালের আইসিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

উদ্ধারের পর থেকে ১১ দিন ধরে হাসপাতালের বিছানায় অচেতন পড়ে আছেন সামিরা। দিন দিন তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছিল। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকা সামিরার কিডনি, লিভারসহ শরীরের কয়েকটি অঙ্গ কাজ করছিল না বলে শুক্রবার দুপুরে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

তবে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়ে ওঠেন রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসেন আরা বেগম ও ছেলে সাদিকুল ইসলাম। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, যুক্তরাজ্য থেকে গত ১২ জুলাই তারা দেশে আসেন। গত ১৮ জুলাই সিলেটের ওসমানীনগরের তাজপুরে ওই ফ্লাটের দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিটে ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। মূলত ছেলের চিকিৎসার সুবিধার্থে বাসা ভাড়া করে তারা এখানে উঠেছিলেন।

স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ২৫ জুলাই রাতের খাবার শেষে প্রবাসী রফিক তার স্ত্রী সন্তানসহ একটি কক্ষে এবং রফিকুল ইসলামের শ্বশুর আনফর আলী, শাশুড়ি বদরুন্নেছা, শ্যালক দেলোয়ার হোসেন, শ্যালকের স্ত্রী শোভা বেগম ও মেয়ে সাবিলা বেগম (৮) অন্যান্য কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে বাসার সুস্থ স্বজনরা ডাকাডাকি করে প্রবাসী রফিকুল ইসলামসহ তার স্ত্রী-সন্তানরা ঘরের দরজা না খোলায় ৯৯৯ নম্বরে কল করেন।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার হুলিয়ারবন্দ এলাকায় তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ঝলক পালের মালিকানা ভবনের ওই ফ্লাট থেকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী পরিবারের পাঁচ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এসে বাসার দরজা ভেঙে তাদের অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়। বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হতে পারে এমনটি ধারণা করলেও সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ভিসেরা প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ।

কালের আলো/ডিএস/এমএম

Print Friendly, PDF & Email