তাঁর মন পড়ে থাকে টুঙ্গিপাড়ায়
প্রকাশিতঃ 11:02 pm | May 31, 2022

কালের আলো রিপোর্ট:
তাঁর মন পড়ে থাকে টুঙ্গিপাড়ায়। সময়-সুযোগ মিললেই ছুটে যেতে চান সুমৃত্তিকায়। সবশেষ গিয়েছিলেন ২ মাস ১৪ দিন আগে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করতে।
আরও পড়ুনঃ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দিনটি ছিল চলতি বছরের ১৭ মার্চ। এরপর মঙ্গলবার (৩১ মে) একদিনের সফরে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে টুঙ্গিপাড়া ঘুরে এলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর দাদি শেখ সাহেরা খাতুনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩১ মে) টুঙ্গিপাড়া সফর করেন। সফরকালে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচি শেষে ঢাকায় ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিতে উপস্থিত হয়ে ফাতেহা পাঠ করেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞের অন্যান্য শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।
শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া এবং সেইসঙ্গে দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় তার দাদা-দাদী এবং বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মা শেখ সাহেরা খাতুনের কবরও জিয়ারত করেন। ৪৭ বছর আগে এই দিনটিতেই হারিয়েছেন নিজের দাদি শেখ সায়েরা খাতুনকে। মঙ্গলবার (৩১ মে) ছিল তার ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে পরিবার নিয়ে সেখানে দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদির কবর জিয়ারত করেন এবং দোয়া-মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে দুপুরে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর পর দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।
এ সময় শেখ কবির হোসেন, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক কর্নেল তৌহিদা নওয়াজেশ রোজী, শাহানা ইয়াসমিন শম্পা, শেখ ফারহান নাসেরসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে টুঙ্গিপাড়ায় রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি শেষে এদিন বিকেল ৪টা ৯ মিনিটে তিনি সফরসঙ্গীদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়া হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী।

টুঙ্গিপাড়ায় মন পড়ে থাকার কথা প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্যেই প্রতি বছর ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় থাকেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ২০২১ সালের ১৭ মার্চ যেতে পারেননি। যোগ দিতে পারেননি শিশু-কিশোরদের অনুষ্ঠানে।
ঠিক সেইদিন সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের বক্তব্য শোনেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দূরে আছি এটা ঠিক। তবে তোমরা তো জানো ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি বলে দূরে থাকলেও অন্তত চোখের দেখাটা তো দেখতে পারছি, কথা বলতে পারছি তাই না? ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলে তো আর এটা করতে পারতাম না। তো তোমরা টুঙ্গিপাড়ায় আছো, আর আমি এইটুকু বলতে পারি আমার মনটা টুঙ্গিপাড়ায়, হয়তো আমি এখানে বসে আছি।
আমাদের রাষ্ট্রীয় কাজের জন্য। সব সময় ১৭ই মার্চ আমি টুঙ্গিপাড়ায় থাকি, আমি আমার ছোট বোন রেহেনাও আছে। আমাদের দুজনেরই থাকার কথা, যেহেতু আমাদের অনেক বিদেশি অতিথি অনেক অনুষ্ঠান। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ঢাকায় এসেছেন তাকে নিয়ে অনুষ্ঠান হচ্ছে, সে কারণে আসতে পারলাম না।’
কালের আলো/বিএসবি/এমএন