বাংলাদেশে ভার্চুয়াল বিচার ব্যবস্থা: সুবিধা-অসুবিধা বিশ্লেষণ

প্রকাশিতঃ 9:45 am | May 23, 2020

ড. মো. রাশেদ হোসাইন:

করোনা পরিস্থিতি আর কতদিন বিদ্যমান থাকবে সেটি হলফ করে বলা প্রায় অসম্ভব। ইতোমধ্যে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এর মারাত্মক প্রভাব লক্ষণীয়। বর্তমানে কোভিড-১৯ -এর প্রাদুর্ভাব মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীর বিচার প্রাপ্তিও যেন আকাশের চাঁদে পরিণত করেছে। এমন অবস্থায় এ বছরের ৯ মে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারিকৃত ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ (অধ্যাদেশ নং-০১, ২০২০ খ্রি.)-এর মাধ্যমে ই-জুডিশিয়ারি প্রবর্তনের অংশ হিসেবে মূলত ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়। উক্ত অধ্যাদেশের ৫ ধারার ক্ষমতাবলে গত ১০ মে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে আদালতে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া শুধু জামিন শুনানির জন্য উচ্চ আদালতসহ অধস্তন আদালতের জন্য ‘বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ জারি করেন। বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা জারির পরের দিন থেকেই অর্থাৎ ১১ মে থেকে মূলত বাংলাদেশের উচ্চ আদালতসহ অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল কোর্টের যাত্রা শুরু হয়।

সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত ১১ মে থেকে ২০ মে, ২০২০ইং পর্যন্ত ৮ কর্মদিবসে সারা দেশে ভার্চুয়াল কোর্টসমূহে মোট ২৮ হাজার ৩৪৯টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে মোট ১৮,৫৮৫ জন আসামিকে জামিনে মুক্তি প্রদান করে, যা বিচারপ্রার্থীর পাশাপাশি বাংলাদেশের আপামর জনগণ এটিকে অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে বলা যায়।

ই-জুডিশিয়ারির অংশ হিসেবে ভার্চুয়াল বিচার ব্যবস্থার অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে, যা অবশ্যই আলোচনার দাবি রাখে। তবে প্রত্যেকটি ভালো বিষয়েরই কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে, যেটি অস্বীকার করার উপায় নেই। সেই সীমাবদ্ধতাগুলো বাস্তবতার নিরিখে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা মোটেও অসম্ভব কিছু নয়। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি সাধারণ ছুটি ঘোষণার কারণে দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস যাবৎ অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন কার্যত স্থগিত হওয়ার পাশাপাশি সব ধরনের বিচারের পথ এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট ইতিপূর্বে সপ্তাহে দুইদিন সীমিত আকারে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শুনানির জন্য উচ্চ আদালতসহ অধস্তন আদালত খুলে দিলে সারা দেশের বিজ্ঞ আইনজীবীদের বিরোধিতার কারণে সেই আদেশও স্থগিত করা হয়। আবারও যদি সার্বিক বিবেচনায় অফিস আদালত সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে প্রত্যেক জেলা শহরের কেন্দ্রে আদালতগুলো প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী এলাকার বিচারপ্রার্থীর বিচার পাওয়া দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।

উদাহরণস্বরূপ ময়মনসিংহ জেলার কথা যদি বলি, ময়মনসিংহ সদর থেকে হালুয়াঘাট থানার দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার, ধোবাউড়া ৫০-৬০ কি.মি., পাগলা, গফরগাঁও, ভালুকা প্রায় ৫০-৬০ কি.মি., ফুলবাড়ীয়া, ত্রিশাল থানা ৩০-৪০ কি.মি.। বাংলাদেশের অন্যান্য জেলায়ও জেলা শহর থেকে এরকম দূরত্বে অনেক থানা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা বিস্তারের পাশাপাশি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ থাকায় এসব দূরবর্তী থানা এলাকার বিচারপ্রার্থীদের সদরে এসে বিচার চাওয়াটা মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা ছাড়া আর কিছুই নয়। কেউ হয়তো বলবেন এতদিন তাহলে কীভাবে বিচার কাজ চলেছে? এই প্রশ্ন যিনি করবেন তার কাছেই উত্তর রয়েছে মনে করি। তবে ভার্চুয়াল কোর্টে একজন বিচারপ্রার্থীকে বা তার পক্ষে বিজ্ঞ আইনজীবীকে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে হয় না। একটা জেলার প্রায় সব এলাকাতেই কিছু আইনজীবী রয়েছে। একজন বিচারপ্রার্থী একটু কষ্ট করে বিজ্ঞ আইনজীবীর চেম্বারে বা বাসায় যেতে পারলে শুধু একটা ই-মেইলের মাধ্যমে একজন হাজতির জামিনে মুক্তিলাভ খুবই সম্ভব। তাহলে সময়, শ্রম, অর্থ, হয়রানি, মানসিক, শারীরিক ক্ষতি থেকে বিচারপ্রার্থীসহ বিজ্ঞ আইনজীবী রক্ষা পাবেন। এই ব্যবস্থায় সমস্যা তাহলে কোথায়? আর কেনই বা এমন ভালো এবং যুগোপযোগী ব্যবস্থার বিরোধিতা করা হচ্ছে? যারা ভার্চুয়াল কোর্ট ব্যবস্থার বিরোধিতা করেন তারা এই লেখা পছন্দ করবেন না সেটা স্পষ্ট। কিন্তু আমি বলতে চাই, আপনারা বিষয়টি ভালোভাবে না জেনে বুঝেই বিরোধিতা করছেন।

ভাবা যায়, একটা জড়বস্তু সৃষ্টির সেরা জীবের তুলনায় বেশি স্মার্ট! বর্তমানে স্মার্টফোন প্রায় সবাই ব্যবহার করেন। আর ফেসবুক আইডি এখন অনেক সিনিয়র স্মার্ট আইনজীবীরও রয়েছে। শুধু একটা স্মার্টফোন হলেই কিন্তু মোটামুটি যথেষ্ট। অনেকে বলবেন এক্ষেত্রে শুধু স্মার্টফোন দিয়ে হবে না; ল্যাপটপ/ডেস্কটপ কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার মেশিনও লাগবে। আমি বলবো, এগুলো ছাড়াও আপনি সুন্দরভাবে ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন আবেদন ও শুনানি করতে পারবেন। সেটি কীভাবে? ধরুন আপনার ইন্টারনেট সংযোগসহ একটা স্মার্টফোন আছে। আপনি যেহেতু ফেসবুক ব্যবহার করেন সেহেতু আপনার একটি ই-মেইল আইডিও আছে। যদি সেটিও না থাকে একজন জুনিয়রকে দিয়ে একটি ই-মেইল আইডি খুলে নেবেন। তাহলেই কেল্লা ফতে। আপনি খুব সহজেই ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন আবেদন করতে পারছেন।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, জামিন আবেদন করার জন্য একজন আইনজীবীর নিকট দুটি পদ্ধতি খোলা রয়েছে। প্রথম পদ্ধতিতে, mycourt.judiciary.org.bd এই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে লগ-ইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুসরণ করে আবশ্যকীয় কাগজপত্র সংযুক্ত (এটাচমেন্ট) করে আবেদন করা যাবে এবং দ্বিতীয় পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট আদালতের ই-মেইল অ্যাড্রেসে জামিনের দরখাস্ত ও ওকালতনামা সংযুক্ত করে জামিন আবেদন করা যাবে। উল্লিখিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করলে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জামিন শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে হলে আপনার মোবাইলে Microsoft teams অ্যাপসটি ইন্সটল করে নিতে হবে। যথাযথভাবে আবেদন করা হলে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে ফিরতি মেইলে শুনানির তারিখ ও সময় উল্লেখে আপনাকে একটি ভিডিও লিংক প্রেরণ করা হবে। অপরদিকে, ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদনের ক্ষেত্রে শুনানি করতে হলে আপনার মোবাইলে zoom cloud meetings বা google meet অ্যাপসটি ইন্সটল থাকতে হবে। এক্ষেত্রেও আপনাকে ফিরতি মেইলে শুনানির জন্য একটি ভিডিও লিংক দেওয়া হবে। আপনি গুগল প্লে-স্টোর থেকে মোবাইলে Microsoft teams, Zoom cloud meetings এবং Google meet অ্যাপসগুলো ডাউনলোড দিয়ে ইন্সটল করতে পারবেন। এর সঙ্গে camscanner বা top scanner প্লে-স্টোর থেকে নামিয়ে ইন্সটল করে নিন। আর কী লাগে!! আপনি জামিনের দরখাস্ত, এজাহার বা অন্যান্য কাগজপত্র (যদি থাকে) স্ক্যান করে জেপিজি বা পিডিএফ ফরম্যাটে সেভ করে উল্লিখিত যেকোনও একটি পদ্ধতিতে আবেদন করুন। শুনানির তারিখ ও সময়ে আপনি বাসা বা চেম্বারে বসে আদালতের ড্রেস পরা অবস্থায় আপনার মোবাইলে ইন্সটলকৃত Zoom cloud meetings বা Microsoft teams বা google meet অ্যাপস (যেটি প্রয়োজন) ব্যবহার করে মোবাইলে প্রেরিত লিংকে ক্লিক করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি করবেন। জামিন মঞ্জুর হলে আপনার কাছে থাকা বেইলবন্ড ও রিলিজ অর্ডারের কপি একইভাবে স্ক্যান করে আবেদন ভেদে উক্ত ওয়েবসাইটে লগ-ইন করে যথাস্থানে সেগুলো আপলোড করুন অথবা আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ই-মেইল অ্যাড্রেসে সংযুক্ত করে পাঠিয়ে দিন। আপনার কাজ শেষ বলা যায়। আপনার মক্কেল জেল থেকে এমনিতে বের হয়ে যাবে। কারণ, রিলিজ অর্ডার আদালত থেকেই জেল সুপারের ই-মেইল অ্যাড্রেসে পাঠানো হবে। আর জেল সুপার রিলিজ অর্ডার পেয়ে হাজতিকে মুক্তি দেবেন। কত সুন্দর একটা পদ্ধতি!

আমরা ইতোমধ্যে অবগত আছি যে, ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি হাজতি গত দেড় মাসের অধিক সময় ধরে জেলহাজতে অনেক কষ্টে বিনা বিচারে দিনাতিপাত করছে। জেলখানায় তাদের খাওয়াতে আমার আপনার করের টাকা খরচ হচ্ছে। আপনারা জানেন, একজন আসামি জামিন পাওয়ার পর তার তদবিরকারক/আত্মীয়কে কোথায় কোথায় টাকা খরচ করতে হয়! একটি বেইলবন্ড বা রিলিজ অর্ডার জেলখানা পর্যন্ত পৌঁছাতে কোনও কোনও সুবিধাভোগী আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠে, যা আপনারা ভালো করেই জানেন। তাহলে এ পদ্ধতি চালু করে লাভ কার হলো? সবাই একবাক্যে বলবেন অবশ্যই বিচারপ্রার্থীর। তাছাড়া জেলা লেভেলে বিচার চাইতে কারা যান? গ্রামের অসহায় গরিব ব্যক্তির সংখ্যাই বেশি। তাহলে বিষয়টি কী দাঁড়াচ্ছে? আমরা এমন পদ্ধতি চাই না কেন? আদালতের অসাধু স্টাফ, অসাধু পুলিশ, টাউট/দালাল, অসাধু মোহরার, জেলখানার অসাধু স্টাফদের হয়রানি থেকে বিচারপ্রার্থী বেঁচে যাক, আমরা সেটি চাই না! অনেকে বলবেন ওকালতনামা, বেইলবন্ড, কোর্ট ফি, রিলিজ আদেশ, রিকল, স্ট্যাম্প পেপার এবং বিভিন্ন কাগজপত্র নেওয়ার জন্য তো আদালতে যেতেই হবে, তাহলে ভার্চুয়াল ব্যবস্থা করে লাভ কী? তাদের জন্য সহজ সমাধান হলো, একবার কষ্ট করে বাইরে গিয়ে ১-২ মাসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বাসায় বা চেম্বারে রাখুন। যখন যেটা প্রয়োজন হবে সেটি পূরণ করে স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে স্ক্যান করে ঘরে বসেই বিচারপ্রার্থীকে বিচার প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করতে পারবেন। বর্তমানে ৩জি/৪জি নেটের স্পিড মোটামুটি ভালো। মোবাইল আগে থেকেই ফুলচার্জ করে নিলে শুনানির সময় বন্ধ হওয়ার আর সম্ভাবনা থাকবে না। এত সুন্দর একটা ব্যবস্থা অকার্যকর করার জন্য আন্দোলন করার কোনও মানে হয়! সিনিয়র আইনজীবীরা তাদের সহযোগিতার জন্য যাদের প্রযুক্তি সংক্রান্ত জ্ঞান ভালো তেমন জুনিয়রদের সাহায্য নিতে পারেন। এক্ষেত্রে জুনিয়রদের একটু কদর বাড়লে সমস্যা কোথায়? আর এই ব্যবস্থা তো শুধু হাজতি আসামিদের জামিন শুনানির জন্য। এই ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হতে সর্বোচ্চ ১ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তারপর দেখবেন এটি কত সহজ একটা ব্যবস্থা। প্রথমে একটু ঝামেলা মনে হচ্ছে বা পারবো না, আমাকে দিয়ে হবে না, ভয় করছে; আসলে এগুলো কিছুই না, মন থেকে সব ঝেড়ে বিদায় করতে হবে।

তবে হ্যাঁ, ছোটখাটো যেসব সমস্যা রয়েছে তা অবশ্যই সমাধানযোগ্য। একটা ব্যবস্থা চালু হতে না হতেই এত বিরোধিতা কেন? সব মহল থেকে এই ব্যবস্থাকে সাধুবাদ জানানো উচিত। তবে যারা আদালতে নিজেদের ইমেজ ব্যবহার করে জামিনে সুবিধা নিতে পটু বা ইতিপূর্বে এমন সুবিধা পেয়ে এসেছেন মনে করেন, তাদের জন্য আমি বলবো এটি মোটেও একটা ভালো ব্যবস্থা নয়। আবার এই ব্যবস্থাকে এত বেশি ঝামেলা মনে করে যারা গর্জন বর্জন করে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম থেকে দূরে থাকছেন, এদিকে সরকার বাহাদুর বা সুপ্রিম কোর্ট যদি নির্দেশ দেন করোনা পরিস্থিতির কারণে হাজতবাস বিবেচনায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আসামিদের এমনিতেই জামিনে মুক্তি দেওয়া হোক। যদিও ইতোমধ্যে সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারার ক্ষমতা প্রয়োগ করে ১ বছর পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত কিছু কয়েদিকে মুক্তি দিয়েছে। তখন আপনাদের মনে হতে পারে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা উচিত ছিল অর্থাৎ ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা’য় হয়তো ভালো ছিল।

সবশেষে আমি মনে করি, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় ই-জুডিশিয়ারি বাস্তবায়নে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু একটি প্রাথমিক পর্ব বা সূচনা মাত্র। আমি ভার্চুয়াল বিচার ব্যবস্থার সার্বিক সফলতা কামনা করে এমন যুগান্তকারী ব্যবস্থা চালুর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় আইনমন্ত্রীসহ মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

লেখক পরিচিতি: সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ময়মনসিংহ

Print Friendly, PDF & Email