অনশনের সপ্তম দিন: ইবতেদায়ীর ১৮৫ শিক্ষক অসুস্থ
প্রকাশিতঃ 10:56 pm | January 15, 2018
স্টাফ রিপোর্টার | কালের আলো:
জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সপ্তম দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করেছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে বৈঠকের পর অনেকটাই হতাশ তারা। তারা প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কথা শোনার অপেক্ষায় আছেন।
সোমবারও পরিবহন পুল ভবনে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে দেখা করেছেন শিক্ষকরা। তবে প্রতিমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী অগ্রগতি জানাবেন বলে শিক্ষকদের জানিয়েছেন।
চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সমিতির ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। তবে অনশনের সপ্তম দিন পর্যন্ত ১৮৫ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।
সোমবার অনশনস্থলে গিয়ে দেখা যায়, খোলা আকাশের নিচে শীতের মধ্যে রাস্তার ওপর বসে আছেন। পলিথিন, কাগজ, বস্তা বিছিয়ে কেউ বসে আছেন, কেউ শুয়ে আছেন। সবার চোখে মুখে হতাশার রেখা, আছে ক্ষোভও। দীর্ঘদিন বিনাবেতনে চাকরি করে এখন আর পারছেন না। কারো হাতে লাগানো আছে স্যালাইন। কেউ শীতে কাঁপছেন, কেউ কাঁদছেন।
শিক্ষকরা বলছেন, এভাবে আর পারছি না। গ্রামের শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় বেতন দেয় না। তাদের বিনা বেতনে পড়াতে হয়। আর আমরা বিনা বেতনে চাকরি করছি। প্রাথমিক স্কুল সরকারি করা হয়েছে। কিন্তু ইবতেদায়ী (প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি) সরকারি করেনি। এর মাধ্যমে মাদ্রাসা শিক্ষাকে অবজ্ঞা করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রথম দিনের মতো অনশন পালন করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এর আগে তারা পাঁচদিন একই স্থানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এমপিওভুক্ত পাঁচটি শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের ব্যানারে তারা এই আন্দোলন করছে।
লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম রনি বলেন, আমাদের একটাই দাবি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ। এ ব্যাপারে আমরা সুস্পষ্ট ঘোষণা চাই। সেই ঘোষণা আসার আগ পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাবো।