ময়মনসিংহ নগরের টাউন হল চত্বরকে ‘জুলাই চত্বর’ ঘোষণা
প্রকাশিতঃ 9:43 pm | July 14, 2025

ময়মনসিংহ প্রতিবেদক, কালের আলো:
ময়মনসিংহ নগরের টাউন হল চত্বরকে ‘জুলাই চত্বর’ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বেলুন উড়িয়ে টাউন হল মোড় এলাকায় এ চত্বরের উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ।
ব্রহ্মপুত্র নদের কাছে সার্কিট হাউস মাঠের কাছে ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে টাউন হল স্থাপন করা হয়। ময়মনসিংহ–টাঙ্গাইল সড়কের মোড় থেকে জয়নুল উদ্যানের ব্যাটবল চত্বর ও সার্কিট হাউসে প্রবেশের সড়কে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ম্যুরাল–সংবলিত একটি গোল চত্বর আছে। মোড়টি রাজনৈতিক সভা–সমাবেশের জন্য বেশ আলোচিত। এই এলাকা ঘিরে গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়।
ত্বরটির দুই দিকে আলাদা সাইনবোর্ডে জুলাই চত্বর ও গোল অংশে জুলাই চত্বর লেখা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। উদ্বোধনের শুরুতে শহীদদের স্মরণে নীরবতা পালন ও দোয়া করা হয়।
বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ বলেন, ‘এই জায়গা থেকেই জুলাই আন্দোলনের শুরু হয়েছিল। তাই এটিকে জুলাই চত্বর হিসেবে ঘোষণা করছি। জুলাই চত্বর এখন থেকে হবে আমাদের চেতনার জায়গা ও শক্তির জায়গা। যেকোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে জুলাই চত্বর থেকে আমরা দমন করব। যাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছেন, তাঁদের ঋণ আমরা শোধ করতে পারব না।’
জুলাই আন্দোলনকারী ও এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান বলেন, ঐতিহাসিক টাউন হল চত্বরকে জুলাই চত্বর ঘোষণা করার বিষয়টি আরও পরিকল্পিতভাবে করা প্রয়োজন ছিল। এখানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ম্যুরাল আছে। নগরের পুরাতন ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শহীদ সাগর চত্বরে আরও কাজ করা যেত। জুলাই স্পিরিট ভূলুণ্ঠিত হয় বা প্রশ্নবিদ্ধ হয়, এমন কিছু করা উচিত নয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, টাউন হল মোড়ের স্থান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু হয়েছিল। ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এটি জুলাই চত্বর ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অবকাঠামোগত কোনো পরিবর্তন করা হবে না। আর জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের জন্য ঢাকা বাইপাস এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কালের আলো/এমএএইচএন